Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেপালের হাসি মোহামেডানের কান্না

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : আগের দিন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব দল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে যেন সেই খেলারই পুনরাবৃত্তি দেখল চট্টগ্রামের হাতে গোনা দর্শকরা। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নেপালের মানাং মার্সায়েন্দী ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আরেক ক্লাব মোহামেডান এসসি। ম্যাচে নিজেদেরকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি সাদাকালো জার্সিধারীর। এ কারণে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। বিজয়ী দলের পক্ষে গোল দু’টি করেছেন ফরোয়ার্ড ওলাডিপু ও মিডফিল্ডার বিশাল। ম্যাচ শেষে নিজেদের হারের প্রসঙ্গে ঢাকা মোহামেডানের কোচ সেন্টু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক এই ম্যাচে যে মানের খেলোয়াড়ের প্রয়োজন, তা দলে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। তবে প্রথমার্ধে যে দু’টি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি, তা কাজে লাগাতে পারিনি। নেপালি ক্লাব দলের গোরাং জয় পেয়ে নিজেদের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে বলেছেন, দল ভালো খেলেছে। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি আমরা। ফরোয়ার্ড ওলাডিপু চমৎকার খেলেছে। ম্যাচ সেরা হিসেবে তার পুরস্কারও পেয়েছে সে।’
১৩ মিনিটে আক্রমণে যায় নেপালের মানাং মার্সায়েন্দী ক্লাব। ডানপ্রান্ত দিয়ে ফরোয়ার্ড ওলাডিপু বল নিয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন। পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে তা ক্লিয়ার করেন ঢাকা মোহামেডানের বিদেশি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন। এর দু’মিনিট পরে আবারো নেপালের ক্লাব দলটির ফরোয়ার্ড স্যামসন আরো একটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। এবারো ত্রাণকর্তার ভ‚মিকায় ছিলেন বেঞ্জামিন। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। খেলার ৩৪ মিনিটে মোহামেডান গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল। এ সময় পেনাল্টি বক্সের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো দলীয় অধিনায়ক সবুজ অতিথি দলের গোলকিপার দিনেশকে একা পেয়েও গোলমুখে শট নিতে কালক্ষেপণ করায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করে দলকে বিপদমুক্ত করে। ৪৩ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। বামপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মোহামেডানের বিদেশি ফরোয়ার্ড দাদা ডি-বক্সের সামনে থাকা সতীর্থ মিডফিল্ডার সজিবকে পাস দেন। সজিব গোলমুখে যে শটটি নেন তা সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দাদা শট নিলেও তা বাইরে চলে যায়। বিরতির আগে অতিরিক্ত সময়ে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও নেপালি মিডফিল্ডার সুজল কাজে লাগাতে পারেননি।
বিরতির পর মোহামেডান গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানালেও একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করে বসে সাদাকালো জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ওই গোলের সুবাদে এগিয়ে যায় নেপালের দলটি। ডিফেন্ডার আদামার লম্বা পাস থেকে ডি-বক্সের বাইরে বল পান ফরোয়ার্ড ওলাডিপু। মোহামেডানের ডিফেন্ডাররা তাকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে। বিপদ বুঝতে পেরে মোহামেডানের গোলকিপার মামুন খান এগিয়ে আসলে তার মাথার ওপর দিয়ে আলতো শটে দলকে এগিয়ে নেন নেপালের ওই ফরোয়ার্ড ১-০। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন আলাদাভাবে নজরকাড়া নেপালের দলটির ফরোয়ার্ড ওলাডিপু। পেনাল্টি বক্সের সামনে বল পেয়ে গোলমুখে জোরালো শট নেন। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন মোহামেডানের গোলকিপার মামুন। তবে ৮৭ মিনিটে ঠিকই আরো একটি গোল পেয়ে যায় নেপালের মানাং মার্সায়েন্দী ক্লাব। মিডফিল্ডার বিশাল ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় ঢুকে প্লেসিং শটে দলকে আনন্দে ভাসান ২-০। দু’মিনিট পর একই কৌশলে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলমুখে যে শটটি নেন নেপালি ফরোয়ার্ড ওলাডিপু তা সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। গোল পরিশোধে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি মোহামেডান। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। পুরো ম্যাচে পারফরম্যান্সের দ্যূতি ছড়িয়ে ম্যাচ সেরা হন বিজয়ী দলের ফরোয়ার্ড ওলাডিপু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেপাল

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ