বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আবু হেনা মুক্তি : হজ গমন নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন এ বছরের হজযাত্রী, ট্রাভেলস এজেন্সি ও তৃণমূলের গ্রুপ লিডাররা। কোটার অতিরিক্ত হওয়ায় গত বছর প্রায় ৪০ হাজার ব্যক্তি রেজিষ্ট্রেশন করেও হজে যেতে পারেনি। এ বছর ১ লাখ ১ হাজারের স্থলে ১ লাখ ২৭ হাজার হজে যাবার সুযোগ পেলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কিন্তু চলতি বছরও গতবছরের ন্যায় অনেকেরই হজে অংশ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গতকাল (শনিবার) খুলনা বিভাগীয় হাজী সমাবেশে এমন আশংকার কথা তুলে ধরেন হজ যাত্রী ও আয়োজকরা। এ অঞ্চলের বরেণ্য আলেম ওলামাগণ এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনেরা বলছেন, বাস্তবতার নিরিখে হজ গমনেচ্ছুদের রেজিষ্ট্রেশন করার পর লটারীর মাধ্যমে কোটা পূরণ করলে তাদের আক্ষেপের অবসন ঘটবে। তারা সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূত্রমতে, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিতব্য পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে হজ যাত্রীদের অধিকাংশ সরকারী হজ যাত্রীরা নির্ধারিত ব্যাংকে ও বেসরকারী হজযাত্রীরা ট্রাভেলস এজেন্সির কাছে অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন করেছে। যারা বুকিং দিয়েছেন তারা সকলেই মানসিকভাবে হজ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। গত বছর বাংলাদেশের হজ কোটায় ১ লাখ ১ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করেন। আর মোয়ালেম ফি জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পরেও হজে যেতে পারেনি প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী। এ বছর তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় এ বছর কোটা বৃদ্ধি করে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮জন হজযাত্রী সউদী গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু ট্রাভেলস এজেন্সিরা আশা করছেন এবারও হজযাত্রীর সংখ্যা গত বছরের মত ১ লাখ ১৫ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। আর গত বছরের রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। সে হিসেবে এবারের হজ গমনেচ্ছুদের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১ লাখ ৫৫-৬০ হাজার। অথচ এবারের কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার। ফলে সাধারণ হজযাত্রীদের মধ্যে এখনই চরমভাবে আশংকা দেখা দিয়েছে। তাদের অভিমত, যারা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে অগ্রিম বুকিং দিয়েছে তারা সবাই কি যেতে পারবে? আর যদি গত বছরের ন্যায় এবারও হাজার হাজার হজ যাত্রী সউদি যেতে না পারে সে ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তাও সাধারণের বোধগম্য নয়। গতকাল প্রায় ২ হাজার হাজীর সমন্বয়ে খুলনা বিভাগীয় হাজী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ আব্দুল মালেক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, কেসিসি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা আলিয়া মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মাদ সালেহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার গুলজার হুসাইন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: সাহেব আলী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।