প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বেশ তোড়জোর চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্যানেল ঘোষিত হয়েছে। প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রেক্ষিতে সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারি সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অভিনেতা বাবর প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কেবল পোর্টফলিও বা পদাধিকারী হওয়ার জন্য নির্বাচন করা উচিত নয়। আমি নির্বাচিত হলাম, সমিতির সদস্যদের উন্নয়ন ও অধিকারে কোনো কাজ করলাম না- এমন মনোভাব নিয়ে যাতে প্রার্থীরা নির্বাচন না করেন। শিল্পীদের সত্যিকারের উন্নয়ন এবং তাদের পাশে থাকার মানসিকতা নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বরাবরই দেখেছি শিল্পী সমিতির নির্বাচনটি কেবল উৎসব মুখর হয়, কমিটিও নির্বাচিত হয়, তবে কাজ খুব একটা হয় না। কমিটিতে যারা থাকেন, তারা কেউ কেউ শুধু ভোটার বাড়ানোর জন্য অনেককে সদস্য পদ দিয়ে থাকেন। আক্ষরিক অর্থে তাদের অনেকেই শিল্পী নন। গঠন তন্ত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যিনি তিনটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তারাই কেবল সমিতির সদস্য হতে পারবেন। দুঃখের বিষয়, এখন এ নিয়ম মানা হয় না। অর্থের বিনিময়ে অনেক অশিল্পীকেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য করার প্রবণতা রয়েছে। ভোটের সময় অনেক প্রার্থী দুস্থ শিল্পীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনেন। এটা অত্যন্ত খারাপ একটি নজির। এর পরিবর্তে নির্বাচিতরা যদি দুস্থ শিল্পীদের জন্য স্থায়ী কিছু করেন, তবে কোনো শিল্পীই দুস্থ থাকবে না। দুস্থ শিল্পীদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে তাদের ভুলে যাওয়া সমিতির নেতাদের কাজ হতে পারে না। বাবর বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আমরা অনেক কষ্ট করে সমিতিকে দাঁড় করিয়েছি। এ সমিতির সাথে অনেক গুণীজন জড়িয়ে আছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সমিতি আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সমিতির এই ইমেজ ক্ষুণ হতে দেয়া কারোই উচিত নয়। আমি আশা করব, এবারের নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা সমিতির গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝে তা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট থাকবেন। নতুন সদস্য করার ক্ষেত্রে যেমন সচেতন হবেন, তেমনি সদস্যদের মর্যাদা ও তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। কেবল নির্বাচনের জন্য নির্বাচন করা ঠিক নয়। শিল্পীরা যাতে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক মর্যাদা পায়, সমিতির কার্যক্রমকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।