Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জম্মু থেকে রোহিঙ্গা তাড়ানোর আন্দোলন চাঙ্গা হচ্ছে

গবেষকদের দাবি : ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের জম্মু শহরে গত কয়েকদিন ধরে বড় বড় হোর্ডিং লাগিয়েছে সেখানকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল প্যান্থার্স পার্টি। দলটি জম্মুর হিন্দু ডোগরা সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করে। হোর্ডিংগুলিতে জম্মুবাসীদের জেগে ওঠার আহŸান জানিয়ে বলা হয়েছে যে, রোহিঙ্গা চলে যাও। তার নিচে লেখা হয়েছে নিজেদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ডোগরাদের স্বকীয় পরিচয় রক্ষা করার জন্য জম্মুবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হোন। জম্মু শহরের নারোয়াল এলাকাতেই মূলত মিয়ানমার থেকে আসার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাস। খবরে বলা হয়, জম্মুতে প্রায় হাজার পাঁচেক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করেন। দিল্লিসহ অন্যান্য কিছু শহরেও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনার শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। গবেষকরা বলছেন, এখন ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যাটা আনুমানিক পঞ্চাশ হাজারেরও বেশিÑ যারা মুম্বাই, হায়দারাবাদের মতো শহরে ছড়িয়ে পড়েছেন। তাদের সকলের ভারতে শরণার্থী হিসাবে থাকার বৈধ কাগজ নেই। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তত্ত¡াবধানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী জম্মুতে বসতি গেড়েছে। কিছুদিন আগে একবার তাদের ওই বসতিতে আগুন লেগে পুরো ভস্মীভ‚ত হয়ে গিয়েছিল। আর এখন আবার এই নতুন প্রচারণা শুরু হওয়ার ফলে তারা আতঙ্কিত বোধ করছেন। নারোয়ালের বাসিন্দা, রোহিঙ্গা শরণার্থী জাহিদ হুসেইন বলছিলেন, অনেকেই কাজকর্ম শেষ করে রাতের দিকে বাড়ি ফেরে। শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি এরকম একটা প্রচার চলতে থাকে, তাহলে রাতের দিকে কারো ওপরে হঠাৎ হামলা হয়ে যেতেই পারে। সেটাই ভয়ের। একদিকে যখন জম্মু-কাশ্মীর প্যান্থার্স পার্টি জম্মুতে রোহিঙ্গা আর অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে, তখন হাইকোর্টে তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। মামলাটি যিনি করেছেন, আর যিনি মামলা লড়ছেন, দুজনেই বিজেপির নেতা। মামলাকারীর আইনজীবী সুনীল শেঠি আবার রাজ্য বিজোপর মুখপাত্রও। সুনীল শেঠি বলছিলেন, আবেদন করা হয়েছে যে, রোহিঙ্গা আর অবৈধভাবে ভারতে আসা বিদেশিরা জ্ম্মু-কাশ্মিরের মতো জায়গায় থাকলে তা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এমনিতেই রাজ্যে জঙ্গিরা সক্রিয়, তারপরও যদি রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে থাকতে শুরু করে, তাহলে তো বিপদ আরো বাড়বে। দেশবিরোধী শক্তিগুলো এদের কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া এদের যদি আশ্রয় দিতেই হয় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এত হাজার কিলোমিটার দূরে জম্মুতে আসতে দেয়া হচ্ছে কেন? রোহিঙ্গা শরণার্থী জাহিদ হুসেইন অবশ্য বলছেন যে, তারা বেআইনিভাবে জম্মুতে থাকছেন না। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের নির্দেশেই তারা সেখানে গেছেন। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ