Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার মাত্র আট হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায়

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোশাররফ হোসেন নীলফামারী থেকে : দেশের সর্ববৃহত সেচ প্রকল্প তিস্তা নদীতে স্বল্প পরিমাণ পানির প্রবাহের উপর ভর করে স¤প্রতি খরিপ-১ মৌসুমে (বোরো) তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে এবার রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কমান্ড এলাকাকে সেচ সুবিধা থেকে বাদ রেখে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে কমান্ড এলাকায় পানি প্রবাহের কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা পড়েছে চরম বিপাকে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, সম্ভাবনা জাগিয়েও বারবার থেমে থাকছে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। চুক্তি না থাকায় বিগত সময়ের ন্যায় এবারো চলতি মৌসুমে নদীর পানি হ্রাস পেয়ে চলেছে। ফলে তিস্তা নদী ধু-ধু বালুচরে পরিণত হচ্ছে। সংশিষ্টরা বলছেন গত ২০১৪ সালে এই মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৬৫ হাজার হেক্টরে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেচ দেয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেচ প্রদান করা হয় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ দিন দিন কমতে থাকায় এবার মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দিনাজপুর ও রংপুরের কমান্ড এলাকা সেচ কার্যক্রম থেকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নীলফামারী জেলার ডিমলা, জলঢাকা, নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে সেচের আওতায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে আটশত হেক্টর, ডিমলা উপজেলার ৫ হাজার হেক্টর, জলঢাকা উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২০০ হেক্টর। ডিমলা উপজেলার নাউতরা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামে তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের পাশের কৃষক বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উজানের প্রবাহ না থাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্প আগের মতো পানি দিতে পারে না। ভরা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই এবার নিজস্ব সেচ যন্ত্র দিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ১০ হাজার কিউসেক পানির প্রয়োজন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার তিস্তা নদীতে পানি ছিল মাত্র ২৫ শত কিউসেক।
তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের স¤প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে সেচ প্রদান কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন উজানের পানি প্রবাহ দিন দিন কমে আসায় তিস্তা নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় স্বাভাবিক স¤পুরক সেচ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এবার

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ