বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া অফিস ঃ বগুড়ায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে স্থাপনা তৈরীর জন্য ইট-বালু নিয়ে প্রস্তুত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হবার উপক্রম হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে গাবতলী উপজেলার লাঠিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ক্যাম্পাসের মধ্যে ইট- বালু রাখা হয়েছে ব্যক্তিগত স্থাপনা তৈরীর জন্য। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ওই স্থাপনা নির্মাণে প্রস্তুতি দেখে হতবাক এলাকার লোকজন। তারা প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও অকপটে এই স্থাপনা নির্মাণের বিরোধীতা করছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি ওই স্থাপনা নির্মাণে বিরোধীতা করে আসলেও থামছেনা প্রভাবশালীরা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ একরাম হোসেন জানান, লাঠিগঞ্জ এলাকার দু’ই প্রভাবশালী মতিউর রহমান মিলন ও মোঃ শাহ আলম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যক্তিগত স্থাপনা তৈরীর জন্য ইট-বালু নিয়ে এসেছে। তারা রাতের বেলায় স্থাপনা নির্মাণ করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। সভাপতি আরো বলেন, মতিউর রহমান মিলন ও মোঃ শাহ আলম দুই ভাই ক্যাম্পাসের মধ্যে সাত শতক জায়গা তাদের কেনা সম্পত্তি বলে দাবী করেন। এবং স্থাপনা তৈরীর জন্য কাজ শুরু করলে বগুড়ার সহকারী জজ আদালতে আমি বাদী হয়ে ৭ ফেব্রæয়ারী অস্থায়ী নিষেধক্ষা পেয়ে আবেদন করি। আদালত সাত দিনের মধ্যে ওই দুই ব্যক্তিকে কারণ দর্শানের নেটিশ দিয়েছে। তার পরও তারা নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকেনি ।
লাঠিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ রোকেয়া পারভীন জানান, বিগত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির লোকজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যক্তিগত স্থাপনা তৈরী করার জন্য ইট-বালু নিয়ে এসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা হতে পারেনা। কোথাও এ ধরনের নজির নেই। দ্রæত স্থাপনা তৈরীর সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে মতিউর রহমান মিলন ও মোঃ শাহ আলমের সাথে কথা বললে তারা জানান, ক্যাম্পাসের মধ্যে সাত শতক জায়গা আমাদের কেনা সম্পত্তি তাই সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছি। তাকে প্রশ্ন করা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাসাবাড়ী করতে পারে কিনা এ প্রশ্নের উত্তর তারা দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।