বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণপাড়া, (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : পূর্ব শত্রুতার জেরধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সহ আহত ১৮ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। গতকাল ৯ ফেব্রæয়ারী সকালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিদলাই গ্রামের (৯নং ওয়ার্ড)এ’ পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দু’গ্রæপের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়ির ২০টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং ১৫টি ঘর লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ সময় সংঘর্ষে নিহত হয় ১জন। আহত হয় ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্তসহ ১৮ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে। পরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, র্যাব-১১, ডিবি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামের সামসুল হক গ্রæপ ও মফিজুল ইসলাম গ্রæপের পূর্ব থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়ে আসছে। ঘটনার দিন মফিজুল ইসলামের লোকজন সামসুল হক গ্রুপের অহিদ মেম্বারের বাড়ি গিয়ে হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে হামলাকারীরা একই গ্রামের মৃত রহমান আলীর ছেলে অহিদ মেম্বার, মফিজ মিয়া, একই বাড়ির চারু মিয়া, মোস্তফা মিয়া, শাহ আলম, মোহন মিয়া, শাহজালাল, রশিদ মিয়া, তিতন মিয়া, কালাম মিয়ার বসতঘরসহ ২০টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আব্দুল খালেকের ৩টি, কাশেমের ৪টি, মনিরুল ইসলামের ৩টি, কালাম মিয়ার ২টি, রাজ্জাক মিয়ার ৩টি ঘরসহ ১৫টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে দ্রæত ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির এবং অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত সামস উদ্দিন ইলিয়াছ সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাকালে থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির এবং অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত সামস উদ্দিন ইলিয়াছ আহত হয়। এসময় সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তফা (২৩), মৃত আলতাফ আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৬০), মনির মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (২৫), শফিউল্লার ছেলে শুভ (১৯), আঃ রহমানের ছেলে অহিদ মিয়া মেম্বার (৫২), আঃ গফুরের ছেলে রেছত আলী (৪৫), জোনাব আলীর ছেলে মোঃ হাসান (২২) ও তার ভাই আবুল কালাম আজাদসহ ১৮ জন আহত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার সময় আহত সুন্দর আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৫) কে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা হলেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, মফিজ মিয়া, দুলাল মিয়া, তমুজ আলী, মোস্তফা, আঃ সামাদ, আঃ সাত্তার, আবুল কাশেম গংসহ শতাধিক লোকজন হাতে দা, ছেনা, লাঠি, টেঁটা, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িঘর লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ নাজমুল হাসান, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর মোস্তফা কায়জার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিঃ দাঃ) মোহাম্মদ ফজলুল জাহিদ পাভেল, বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বড়–য়া, মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোর্শেদ পারভেজ, অফিসার ইনচার্জ (পুলিশ লাইন কুমিল্লা) মোঃ নূরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ২টি টিম, কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।