নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, হায়দারাবাদ (ভারত) থেকে : ারতের ইতিহাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৬০৪ রানের রেকর্ডটি এতদিন ছিল চান্দু বোর্দের। ১৯৬৪-৬৫ মওশুমে চান্দু বোর্দের সেই রেকর্ডটি এতোদিন ছিল অক্ষত। গতকাল মিরাজকে ডিফেন্স করতে যেয়ে মুশফিকুরের প্যাডে বল দিক পরিবর্তন করে তা ক্যাচে পরিণত হলে সেঞ্চুরি হাতছাড়া ( ৮৩) করার আক্ষেপ নিয়ে ফিরে আসেন চেতশ্বর পুজারা ড্রেসিং রুমে। তবে মিরাজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগেই একটি বিরল রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ভারতের এই টপ অর্ডার। চলমান মৌসুমে (২০১৬-১৭) রেকর্ড ১৬০৫ রানে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি চান্দু বোর্দেকে। শুধু এক মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানে ভারতের রেকর্ডই করেননি, এক মৌসুমে পুজারা-মুরালী বিজয়ের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের সংখ্যাও গড়েছে ভারতীয় রেকর্ড। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে বিজয় হাজারে-মোদির পার্টনারশিপ থেকে এসেছিল ৪টি সেঞ্চুরি। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটির ১৭৮ রানে সংখ্যাটা উন্নীত হয়েছে ৫ এ!
দু’জনের মধ্যে এমন বোঝাপড়ায় আছে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও। সেটাই জানিয়েছেন মুরালী বিজয়Ñ‘সে আমার কাজটাও সহজ করে দিয়েছে। সে বড় ক্রিকেটার হতে যাচ্ছে। সব সময় সে মাথা খাটিয়ে খেলে। আমরা দু’জনে ২ ধরনের বৈশিষ্ট্যের হলেও ড্রেসিং রুমে আমরা একে অপরের সাফল্য উদযাপন করি। সে ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের রোল মডেল। আশা করছি সে এ ধরনের বড় কাজ ধারাবাহিকভাবে করবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল ভারত ওপেনার মুরালী বিজয়ের সেঞ্চুরিটি তার ৪৮তম টেস্টে ৯ম। ২০১৫ সালে ফতুল্লায় ১৫০’র পর হায়দারাবাদে ১০৮। এই সেঞ্চুরিতে ভারত ওপেনার আর একটি সফল অধ্যায় রচনার পথে এগিয়েছেন এক ধাপ। ওপেনিং করতে এসে ভারত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেঞ্চুরির সংখ্যায় সর্বাধিক ৩৩টি গাভাস্কারের, শেভাগের সেঞ্চুরির সংখ্যা সেখানে ২২টিÑতৃতীয় স্থানটি মুরালী বিজয়ের (৯টি)।
মুরালী বিজয়, চেতশ্বর পুজারার কৃতিত্বের দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন কোহলী। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওয়ানডে ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিতে নিজের জাত জানিয়ে দেয়া কোহলীকে হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টে। লেগ স্পিনার জুবায়েরের গুগলি ডেলিভারিতে হতভম্ব হয়ে মাত্র ১৪ রানে ফিরে যেতে হয়েছে ২০১৫ সালে, ফতুল্লায়। সেই দু:খ ভুলতে গতকাল মিরাজকে লং অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে টেস্টে ১৬তম সেঞ্চুরি উদযাপনের ইনিংসটি বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম। হায়দারাবাদ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ১১১ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকা কোহলীর সামনে হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বরেকর্ডের। এক মৌসুমে সর্বাধিক টেস্ট রানের রেকর্ডটি এখনো ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগের। ২০০৪-৫ মৌসুমে ১৭ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে ১১০৭ রানের (গড় ৬৯.০৬) রেকর্ডটি বুঝি আজ ভেঙে ফেলতে যাচ্ছেন কোহলী। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটিতে ১০৭৫ রানে (গড় ৮৯.৫৮) শেভাগের রেকর্ডকে চোখ রাঙাচ্ছেন কোহলী। গতকাল ছাড়িয়ে গেছেন তিনি ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে গাভাস্কারের সংগ্রহকে (২১ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ৪ ফিফটিতে ১০২৭ রান) এবং ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচকে (১৯৯০-৯১) ছাড়িয়ে (১১ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি,৩ ফিফটিতে ১০৫৮ রানকে। এক মৌসুমে সর্বাধিক টেস্ট রানের রেকর্ড থেকে এখন ৩১ রান দূরে দঁাঁড়িয়ে কোহলী।
এমন একটি দিনে বিস্ময়ের জন্মও দিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চেন্নাই টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিপল সেঞ্চুরিতে (৩০৩*) ম্যান অব দ্য ম্যাচে ভ‚ষিত করুন নায়ার পরের টেস্টেই ব্রাত্য! যার ইনজুরিতে পেয়েছিলেন টেস্ট দলে সুযোগ, সেই রাহানে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরায় কপাল পুড়েছে করুন নায়ারের। তবে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেও করুন নায়ারকে ছেড়ে দিতে হয়েছে জায়গা, তা নিয়ে মোটেও বিস্মিত নন মুরালী বিজয়Ñ ‘আমাদের দলের সবাই খেলতে উদগ্রীব, এটা একটা ভালো দিক। আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাহানে দারুণ ক্রিকেটার। টেস্টে তার গড় ৪৯.০০’র উপর। চেন্নাইয়ে করুন নায়ার অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে। টিম ইন্ডিয়ায় এই প্রতিযোগিতাটা স্বাস্থ্যকর।’
এমন এক দু:সহ অতীত আছে ইংল্যান্ডের অ্যান্ডি স্যান্ডহ্যামের। ১৯৩০ সালে জ্যামাইকা টেস্টে ৬০০ মিনিটে ৩২৫ রানের ইনিংসে ইংল্যান্ড ৮৪৯ স্কোর করেও পারেনি জিততে, ড্র’হয়েছে ম্যাচ। এই অপরাধে ওই ইংলিশ ওপেনার আর পাননি টেস্ট খেলার সুযোগ। ট্রিপল সেঞ্চুরি করে দলের পরের টেস্ট খেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের লেন হাটন (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে ১৯৩৮ সালে ৩৬৪) ও এবং পাকিস্তান লিজেন্ডারী ইনজামাম-উল-হকও (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লাহোরে ২০০২ সালে ৩২৯ রান)। তবে স্যান্ডহামের মতো পরিণতি বরণ করতে হয়নি তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।