নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : এক সময়ে ঢাকা ছিল ভারতের লাকি গ্রাউন্ড। ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ এবং ১৯৯৮ সালে ত্রিদেশীয় কোকা-কোলা ইন্ডিপেনডেন্স কাপের ট্রফিটা ভারত জিতেছে ঢাকা থেকেই। তবে সেই সুসময়টা হারিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সর্বশেষ তিনটি আসরের (২০০, ২০১২ ও ২০১৪) একটিতেও ট্রফি জেতা দুরে থাক, ফাইনালের নাগালও যে পায়নি ভারত! শচীনের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি ইনিংসে বাংলাদেশের কাছে খেতে হয়েছে হোঁচট। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ওই একটি হারই ভারতকে লীগ রাউন্ড থেকে করেছে বিদায়। ২০১৪’র এশিয়া কাপে আফ্রিদির দানবীয় ব্যাটিং ফাইনালের স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের কাছে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ক্ষতটাও যে শুকায়নি ভারতের এখনো।
এশিয়া কাপে হয়ে যাওয়া ১২টি আসরের ৫টি’র ট্রফি ঘরে নিয়ে যাওয়ার পরও তাই ঢাকায় খেলতে এসে রাঙাচ্ছে চোখ ভারতকে। নিয়মিত অধিনায়ক ধোনীকে আসরের প্রথম ম্যাচে যাচ্ছে না পাওয়া। মঙ্গলবার ট্রফিতে হাত দিয়ে ফটো সেশনে ধোনী থাকলেও প্রথম ম্যাচে দলের ভারটা যে পড়ছে বিরাট কোহলীর উপর। ধোনীর এই সম্ভাব্য অনুপস্থিতিই বড্ড ভাবাচ্ছে কোহলীকে। গতকাল সেই ভাবনার কথাই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কোহলীÑ ‘খেলার ঠিক আগের দিন কোন খেলোয়াড়ের সমস্যায় পড়ে যাওয়াটা দু:খজনক। বিশেষ করে ধোনির মতো মিডল অর্ডারের স্তম্ভ কোন ব্যাটসম্যানের না থাকাটা কষ্টের।’ ধোনীর এই অভাব পূরনে ভারত থেকে জরুরীভাবে উড়িয়ে আনা পার্থিব প্যাটেলকে দিয়ে মিডল অর্ডারে সঠিক কম্বিনেশনের খোঁজে এখন কোহলীÑ ‘পার্থিব প্যাটেল আসছেন, তাঁর যদি খেলতেই হয়, কোথায় খেলবেন সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনা করব। আমাদের সমন্বয়টা বের করতে হবে এবং সেরা ব্যাটিং অর্ডার সাজাতে হবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা সাজাতে পারব না।’
টি-২০তে দারুন সময় কাটছে এখন ভারতের। জিম্বাবুয়ের মাটিতে ১-১এ টি-২০ সিরিজ ড্র’র পর তিনটি সিরিজের তিনটির ট্রফি জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জাও দিতে পেরেছে ভারত সম্প্রতি। ৩ ম্যাচের ওই সিরিজে বিরাট কোহলীর ১৯৯ রান, গড়টাও ঈর্ষণীয়Ñ ১৯৯.০০। ফর্মের তুঙ্গে আছেন রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান। নুতন ফরমেটের (টি-২০) এশিয়া কাপে ভারতকেই তাই ফেভারিট মানছেন প্রতিপক্ষরা। তবে ভারতের মাটিতে টুয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসছে বলে এশিয়া কাপকে আইসিসি’র মেগা আসরের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন কোহলীÑ ‘আমার জন্য এশিয়া কাপটা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খেলা সম্ভব হবে। বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশের শক্তিশালি দলগুলোর বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যায়। এটা নিজেদের পরীক্ষা করার জন্য আমাদের দারুন সুযোগ। কারণ পরিবেশটা বিশ্বকাপের সময় প্রায় একই থাকবে। এশিয়া কাপ অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্ট আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে উপমহাদেশের সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে নিজেকে পরীক্ষার। এটা সবসময়ই প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয় এবং নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা চালাতে হবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দক্ষতার সাথে। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে সাদৃশ্যপূর্ণ এ পরিবেশ আমাদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা যাচাইয়ের পাশাপাশি দল কি অবস্থায় আছে সেটা বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে। সুতরাং এটা বিরাট সুযোগ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের পরীক্ষার।’
টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কাছে কখনো হোঁচট খায়নি ভারত। ২ ম্যাচের ২টিতেই সহজ জয় পেয়েছে ভারত। তবে হোমে যেভাবে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, এবং ফরমেটটা যেহেতু টুয়েন্টি-২০, তাই বাংলাদেশকেও বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন কোহলীÑ ‘টি২০ ফরমেটে সবগুলো দলই ভয়ঙ্কর। আমি মনে করিনা নির্দিষ্ট কোন একটা দল বাড়তি সুবিধা পাবে। নিজেদের দিনে যেকোন দলই অন্য দলকে হারাতে পারে। আমরা যে কোন দলকেই বড় হুমকি হিসেবে দেখছি। সে কারণে আমরা এই চ্যালেঞ্জটা বিশ্বের যেকোন দলের বিরুদ্ধেই সমানভাবে নিতে যাচ্ছি। টি২০ ক্রিকেটে সবকিছুই দ্রæতগতিতে পাল্টে যেতে পারে।’
কোহলীরা মনোযোগ দিচ্ছেন নিজেদের খেলার দিকেই। এশিয়া কাপের ট্রফিটা ২০১০’র পর থেকে হাতছাড়া হয়ে গেছে। নুতন ফরমেটের এশিয়া কাপে তা পুনরুদ্ধারই বড় চ্যালেঞ্জ কোহলীরÑ ‘আমরা প্রতিপক্ষের শক্তির দিকে খুব বেশি মনোযোগ দিচ্ছিনা, কারণ নিজেদের শক্তিমত্তা দিয়ে আমাদের সব ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের মনোযোগটা সেদিকেই থাকবে।’ পেস আক্রমনে বাংলাদেশের ভয়ংকর হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটাও যে নিতে হচ্ছে ভারতকে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজী পিচ খেলে টুয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির দিকেই যতো মনোযোগ সংক্ষিপ্ত ভার্সনের নাম্বার ওয়ানদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।