নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, হায়দারাবাদ (ভারত) থেকে : হায়দারাবাদ টেস্টে মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর। হাবিবুল, তামীম, সাকিবের পর বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩ হাজারি ক্লাবের সদস্যপদের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম। দরকার তার ৭৮ রান। আর মাত্র ২টি উইকেট পেলে টেস্টে আড়াইশ’ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন এই মুহূর্তে বিশ্ব সেরা ভারত অফ স্পিনার অশ্বিন। ৪৪ টেস্টে ২৪৮ টেস্ট উইকেটে আড়াইশ’ উইকেটের মাইলস্টোনে দ্রুততম বিশ্বরেকর্ডের কাজটাও রেখেছেন এগিয়ে অশ্বিন। অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট পেস বোলার ডেনিস লিলি ৪৮ টেস্টে আড়াইশ’ উইকেট পূর্ণ করে এখনো আড়াইশ’ ক্লাবে দ্রুততম। হায়দাবাদ টেস্টে সেই রেকর্ড ভেঙে নুতন বিশ্বরেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে রবিচন্দন অশ্বিনের।
ভারত সর্বশেষ ১৮ টেস্টে হারে নি একটিতেও। জিতেছে ১৪টিতে। ফিরে পেয়েছে টেস্টে নাম্বার ওয়ান এর মুকুট। এই সাফল্যে যে পারফরমারদের নাম কৃতজ্ঞচিত্তে উচ্চারণ করতে হবে, সেখানে কোহলী, অশ্বিনকে রাখতে হচ্ছে সবার উপরে। গত বছর কোহলী ১২ টেস্টে করেছেন ৪ সেঞ্চুরি ২ ফিফটিতে ১২১৫ রান, সেখানে ১২ টেস্টে ৭২ উইকেটে বিস্ময় বোলিং করেছেন অশ্বিন। সে কারণেই হায়দারাবাদ টেস্টে ভারতের সময়ের সেরা এই দুই সেনশেসনকে হুমকি ভেবে তাদেরকে নিয়েই ছক আঁকতে হচ্ছে মুশফিকুরদের। মুশফিকুর নিজ মুখে তা স্বীকার করেছেনÑ‘সত্যি বলতে কি, অশ্বিন, বিরাট কোহলী অনেক বড় মাপের ক্রিকেটার। আমার মনে হয় দুইজনই হুমকি। কারণ ভারতে খেলা। বিরাট কোহলী অনেক ভালো ফর্মে আছে। সেক্ষেত্রে সে আমাদরে জন্য বড় থ্রেট। আমাদের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে আমাদের ২০টি উেইকেট নিতে হবে। আমরা যদি অশ্বিনকে ভালো ভাবে খেলতে পারি, তাহলে এটা তার জন্য অনেক কঠিন হবে। সেদিক থেকে বলতে গেলে দুইজনই আমার কাছে বড় থ্রেট!’
তবে শুধু এই দুইজনকেই নয়, ভারতের ব্যাটিংলাইন আপে চেতশ্বর, মুরালী বিজয়, লোকেশ রাহুল, রাহানে, বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজা, ইশান্ত শর্মা, উমেষ যাদবদের নিয়েও যে ছঁক আঁকতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। এমনটাই জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিমÑ‘ভারত টেস্টে নাম্বার ওয়ান দল। তারা দু’জন (অশ্বিন, কোহলী) কিন্তু দলকে জিতিয়ে দিতে পারবে না। সর্বশেষ ক’টি সিরিজে দেখেছি,তাদের অন্য ক্রিকেটাররাও দারুণ করছে। পেস বোলাররাও ভালো করছে। দল হিসেবে তারা আসলেই ভালো করছে। এটাই তাদের অর্জন। তাদের শেষ ৪ জন ব্যাটসম্যান পর্যন্ত যেভাবে অবদান রাখছে, আমার মনে হয় না এভাবে অন্য কোনো দলের ক্রিকেটাররা এতোটা অবদান রাখছে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ বলেন অনেকেই কিন্তু দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। পূজারা ও লোকেশ রাহুল অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে সেখানে। তাদের পেস বোলারদের যখন ব্রেক থ্রু দেয়ার দরকার ছিল তারা দিয়েছে। হয়তো ৫-৬ উইকেট পায়নি। কিন্তু অবদান রেখেছে। নাম্বার ওয়ান টেস্ট টিম হিসেবে ভারতের সবচেয়ে বড় অর্জন এটাই। এ কারণেই দল হিসেবে তারা খেলছে।’
ওয়ানডে,টি-২০তে কোহলী বাংলাদেশের বিপক্ষে যতোটা মেলে ধরেছেন, ততোটা কিন্তু পারেননি টেস্টে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ২ ফিফটিতে ৫৫৮ রান (গড় ৬৯.৭৫), টি-২০তে সেখানে ৪ ম্যাচে ১২৯। অথচ,বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন মাত্র ১টি টেস্ট, ফতুল্লায় সেই টেস্টে লেগ স্পিনার জুবায়েরের গুগলিতে হতভম্ব হয়েছেন বোল্ড আউটে, থেমেছেন মাত্র ১৪ রানে। কিন্তু অশ্বিনের ব্যাপারটা আলাদা। ২০১৪ সালে বৃষ্টিবিঘিœত ফতুল্লা টেস্টে শিকার তার ৫ উইকেট!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।