নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি মানেই যেমন বার্সেলোনা, ওয়েন রুনি মানেই যেমন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তেমনি সার্জিও আগুয়েরো মানে ম্যানচেস্টার সিটিকেই জানেন অনেক ফুটবল ভক্ত। কিন্তু সিটিতে পেপ গার্দিওলা অধ্যায় শুরু হওয়ার পর আগুয়েরোর সাথে আকাশী-নীলের সেই বন্ধন যেন শিথিল থেকে শিথিলতর হচ্ছে দিন দিন।
ক’দিন আগেও আগুয়েরোই ছিলেন আক্রমণভাগে দলের অঘোষিত প্রধান তারকা। চলতি মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ (১৮টি) গোল তার নামে, দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা রেইম স্টার্লিংয়ের চেয়েও যা ১১টি বেশি। এরপরও হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেল সবকিছু। নিয়মিত একাদশে দেখা যাচ্ছে না তাকে। নিজেদের শেষ ম্যাচে সাত মিনিটের জন্য মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। বিশেষ করে দলে ব্রাজিলিয়ান ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস আসার পর টানা তিন ম্যাচ একাদশের বাইরে আগুয়েরো। এর পর থেকে শুরু হয়েছে কানাঘুষা। তাকে বিক্রি করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে। যদিও চলতি মৌসুমে তিন বছরের জন্য চুক্তির নবায়ন করা হয়েছে। আগুয়েরোরও ইচ্ছা থেকে যাওয়ার। তার বিশ্বাস, আসন্ন গ্রীষ্মের আগে তাকে নিয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাব, ‘এই তিন মাস ক্লাবকে সাহায্য করতে হবে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে আমার এখানে জায়গা আছে কি নেই।’ তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুয়েরোকে বিক্রি করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই হতাশ আগুয়েরো। এমন সঙ্কটময় সময়ে পাশে পাচ্ছেন ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থ পাবলো জাবালেতাকে। এ ব্যাপারে চিন্তিত নন তিনি। জোর দিয়েই বলেছেন, ‘সবকিছু সামলে নেয়ার মতো যথেষ্ট পরিপক্ব সে।’ তবে গার্দিওলার পরিকল্পনাকেও সম্মান জানিয়ে জাবালেতা বলেন, ‘এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে (কার্লোস) তেভেজ, (মারিও) বালোতেল্লি, (এডেন) জেকোকেও একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। শিরোপা জিততে আমাদের শক্ত একটা দল প্রয়োজন।’ গার্দিওলার পরিকল্পনা হলো ৪-৩-৩ ফর্মেশন। ফলে দলে স্ট্রাইকার দুইজন খেলার কোনো সুযোগ নেই। তবে কোচ চাইলে খেলাতেও পারেন জানিয়ে আর্জেন্টাইন রাইটব্যাক বলেন, ‘আমরা একজন সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার ও দুই উইংয়ের সহযোগে ৪-৩-৩ নিয়মে খেলি। যে কারণে দলে তাদের (আগুয়েরো ও জেসুস) যে কোনো একজনের প্রয়োজন।’
১৫৪ গোল নিয়ে সিটির তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আগুয়েরো। ২০১৪/১৫ মৌসুমে জেতেন গোল্ডেন বুট। ২০১১-১২ তে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের মৌসুমেও দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন, যেবার কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার অতিরিক্ত সময়ের গোলেই শিরোপা জেতে ইতিহাদের দল।
চলতি মৌসুমে ক্যাম্প ন্যূতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগুয়েরোকে বাইরে রেখেই একাদশ সাজান গার্দিওলা। তখনই সন্দেহ হয়, গার্দিওলার পরিকল্পনায় সম্ভবত নেই আগুয়েরো। তবে সাবেক বার্সা ও বায়ার্ন কোচ বলছেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্য মতে, ‘আগুয়েরো দলের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।