নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সবশেষ শটটি নিজে নিতে চেয়েছিলেন মোহামেদ সালাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার প্রয়োজনই হলো না। টাইব্রেকারে অসাধারণ বীরত্বে ব্যবধান গড়ে দিলেন মিশরের দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল। ক্যামেরুনকে হারিয়ে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে উঠল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।
গতপরশু রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও গোলশূন্য থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আবু গাবালের দারুণ নৈপুণ্যে ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বুরকিনা ফাসোকে হারিয়ে সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছে সেনেগাল। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পরস্পরের বিপক্ষে লড়বেন লিভারপুলের দুই সতীর্থ সালাহ ও সাদিও মানে।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটিই কেবল বুঝতে পারেননি আবু গাবাল। ভিনসেন্ট আবুবাকারের শটে ডাইভ দেন উল্টো পাশে। কিন্তু ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়ে হ্যারল্ড মুকুদি ও জেমস লিয়া সিলিকির শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখার কাজটা করতে পারেননি ক্লিন্টন এন’জিয়ি। আকাশে উড়িয়ে মারা তার শটের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরুনের ফাইনালের স্বপ্নও ভেস্তে যায়। মিশরের তিন ফুটবলার জিজু, মোহামেদ আব্দেলমোনেম ও মোহামেদ লাশিন খুঁজে পান জালের দেখা।
চলতি আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টাইব্রেকারে জিতল মিশর। শেষ ষোলোর ম্যাচে আইভরি কোস্টকে ৫-৪ গোলে হারায় তারা। পরে কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে হারায় মরক্কোকে। আবার ‘ভাগ্য পরীক্ষায়’ জিতে খুশিতে ভেসেছে মিশর। মাঠে এসে উদযাপনে সঙ্গী হয়েছেন কার্লোস কিরোস ও ওয়ায়েল গোমা। কার্ডের খারায় তাদের কেউই ফাইনালে থাকতে পারবেন না ডাগআউটে।
বর্তমান সময়ে আফ্রিকা মহাদেশের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় নিঃসন্দেহে এই দুজন থাকবেন। কাকতালীয়ভাবে তারা খেলেনও একই ক্লাবে। শুধু খেলেন বলাটা ভুল হবে, ক্লাবের ভালো-মন্দের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরেকটা জায়গায় এই দুজন একবিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের কেউই দেশের হয়ে যেকোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতেননি! এবার সে আক্ষেপ অন্তত একজনের ক্ষেত্রে ঘুচেই যাচ্ছে।
আফ্রিকার সেরা দল হওয়ার তকমা এর আগে সাতবার মিসরের কপালে জুটলেও মোহাম্মদ সালাহ সে সাত স্কোয়াডের একটিতেও ছিলেন না। ওদিকে সেনেগাল এর আগে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস জেতেইনি কখনো। ফাইনালে এই দুই দলের যে-ই জিতুক না কেন, সালাহ বা মানের মধ্যে একজন অন্তত নিজের আক্ষেপ মেটাতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।