পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশন জাতির প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। সার্চ কমিটির প্রস্তাবের আলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রকাশের পরদিন গতকাল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে আমি নিশ্চিত। এখানে সন্দেহ-সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। অতীতের ভুল যদি তারা এবার করে, তাহলে বিএনপি আরও কতটা সঙ্কুচিত হবে তা তাদের মধ্যে যাদের বুদ্ধি আছে তার ভালো করেই জানেন।
কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যে সার্চ কমিটি করেছেন এবং এ কমিটির সুপারিশে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এমন একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলেরর সঙ্গে যুক্ত নয়। যার নাম আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তাব যায়নি।
তিনি বলেন, তাছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজনকে আওয়ামী লীগ ও একজনকে বিএনপির প্রস্তাবনা থেকে নেয়া খুবই ভালো হয়েছে এবং খুবই আশাব্যঞ্জক বলে আমি মনে করি।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আমাদের আশা, এই নির্বাচন কমিশন জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে এবং তারা নিরপক্ষভাবে কাজ করবে। তিনি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।
নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত একজন এবং বিএনপি প্রস্তাবিত একজন স্থান পাওয়ার বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল যে নাম প্রস্তাব করেছেÑ তাদের মধ্য থেকে একজন করে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, সার্চ কমিটি অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।
বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার রাখার বিষয়টি ইতিবাচক জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আমরা আগেই বলেছি, প্রেসিডেন্টের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তিনি সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, আমরা সেটাই মেনে নেব।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এমন কি অন্যরাও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। সুতরাং আমরা আশা করি, এই নবগঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের দক্ষতা দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে।
নাসিম বলেন, আর বড় দুই দলের প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন করে রাখা হয়েছে এটা একটা ইতিবাচক দিক। এর মাধ্যমে বড় রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবকে সম্মান করা হয়েছে।
ইসি নিয়োগে প্রেসিডেন্ট ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করার পর তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নামের প্রস্তাব আহ্বান করে। তাতে অধিকাংশ দল সাড়াও দেয়। সেই নামগুলো নিয়ে এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার পর গত সোমবার ১০ জনের নামের সুপারিশ প্রেসিডেন্টকে দেয় সার্চ কমিটি। তার মধ্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন ইসি গঠন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম পড়ে শোনানোর পর সিইসি এবং চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করেন।
সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করেছেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছেÑ সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া মোট ১২৮টি নাম সার্চ কমিটিতে জমা পড়ে। তার মধ্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করে সার্চ কমিটি। পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশনে ‘বড় বড়’ সব দলের প্রস্তাবিত নামই আছে বলে জানান শফিউল।
নতুন কমিশনারদের মধ্যে কবিতা খানমের নাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এসেছিল বলে জানান তিনি। সার্চ কমিটির সুপারিশে আসা পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নানের নাম আওয়ামী লীগ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনি বাদ পড়েছেন।
বিএনপির প্রস্তাব করা পাঁচটি নাম থেকে দুজনÑ সাবেক অতিরিক্ত সচিব গল্পকার মাহবুব তালুকদার ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের নাম সার্চ কমিটির ১০ জনের তালিকায় এসেছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। তার মধ্য থেকে মাহবুব তালুকদার পেয়েছেন প্রেসিডেন্টের মনোনয়ন।
সিইসি পদে ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়া সচিব নুরুল হুদার সঙ্গে ২০০৮ সালে অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নামের প্রস্তাব রেখেছিল সার্চ কমিটি। আলী ইমামের নাম গতবারের মতো এবারো বাদ পড়েছে। সিইসি পদের দুজনের নাম কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এসেছিল, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।