নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দুবাইতে গতপরশু শেষ হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র বোর্ড সভা। এর পর থেকেই পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাতে ব্যস্ত ভিন্ন ভিন্ন দেশের বোর্ডগুলো। ভিন্ন পথে হাঁটেনি বাংলাদেশও। গতকাল বিকেলে আইসিসি বোর্ড সভার খুঁটিনাটি এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি। যেখানে আইসিসির প্রস্তাবিত পরিবর্তিত ক্রিকেট কাঠামোতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান, ‘প্রস্তাবিত কাঠামোতে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই, কারণ আগের প্রস্তাবিত কাঠামোতে ছিল প্রমোশন-রেলিগেশনের উপস্থিতি। আইসিসি সভায় বাংলাদেশকে নিয়ে যে পর্যালোচনা দেয়া হয়েছে সেটায় বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থানেই আছে। আমাদেরকে এ নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না।’ বাংলাদেশ নিয়মিত ভিত্তিতেই বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলবে বলে জানান পাপন।
এর আগে প্রস্তাবিত দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামোর জোরালো প্রতিবাদ করেছিল বাংলাদেশ। পাপন আরও যোগ করেছেন, ‘সব কৃতিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের, যারা মাঠে ভালো নৈপূণ্য দেখিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। বাংলাদেশ উন্নতি করেছে এবং বড় দলগুলোর সঙ্গে লড়তে পারে, এটা আজ সবাই বিশ্বাস করে।’
বিশ্ব ক্রিকেটের পরিবর্তিত কাঠামোতে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান না ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে পাপন বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর এখন কেউই দিতে পারবে না কারণ এর বাস্তবায়ন এখনও বহু দূরের পথ। এটি এখনও তো অনুমোদিতই হয়নি। তবে নতুন কাঠামোতে অস্ট্রেলিয়া যে পরিমাণ অর্থ পাওয়ার কথা তার সমপরিমাণ তো বাংলাদেশেরও প্রাপ্য।’ বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘প্রস্তাব নিয়ে এখন সদস্য দেশগুলো আলেচনা-পর্যালোচনা করবে, তারা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। আগামী এপ্রিলে এগুলো আবারও আলোচিত হবে। সেখানেও মনে হয় না এগুলো অনুমোদন পাবে। অনুমোদিত হবে আগামী জুনের বার্ষিক সভায়।’
বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থার প্রথম নির্বাচিত সভাপতি পাপন। পাঁচ বছর ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু এটিই নয়, ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন নাজমুল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বেক্সিমকো গ্রæপের পরিচালক। তিনটি দায়িত্বকেই একসঙ্গে গুরুত্ব দেয়াটা ঠিকভাবে হয়ে উঠছে না। ক্লান্তি জেঁকে বসেছে, আর তাই দায়িত্বের বোঝা কমিয়ে দিতে চান তিনি। তবে কি বিসিবি ছেড়ে দেবেন তিনি! গতকালের সংবাদ সম্মেলনের পর তারই কিছু কথার জেরে এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। পাপন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় বিসিবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার মেয়াদ আছে আর ছয় মাস।’ এর পরই দায়িত্বের বোঝায় নুইয়ে পড়ার ইঙ্গিত মিলল তার বক্তব্যে, ‘তিনটি ভিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাওয়া কঠিন হচ্ছে। সংসদ সদস্য হিসেবে খুব কম আমার এলাকায় যাওয়া হয়, এছাড়া বেক্সিমকোতেও একটি দায়িত্বে আছি। একই সময়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশাল একটা দায়িত্ব। আর ক্রিকেট আমার জীবনের সবটুকু সময় নিয়ে নিয়েছে।’
শরীরের দিকটাও খেয়াল রাখতে চান বিসিবি সভাপতি, ‘এমনকি আমার স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবতে হবে, আজকাল ভালো যাচ্ছে না। আমি মনে করি এসব দায়িত্বের অন্তত একটি ছাড়তে হবে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।