পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) গত মঙ্গলবারের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে রঘুরাম রাজনের নেয়া এটিই শেষ সিদ্ধান্ত, যা সর্বজন প্রত্যাশিত ছিল।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিমালা নিয়ে তৃতীয় দ্বি-মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে রঘুরাম রাজন বলেন, বেঞ্চমার্ক রেপো রেট ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির মতো কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিদ্যমান থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মুদ্রানীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হবে, পাশাপাশি পর্যাপ্ত তারল্য ধরে রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া ঋণের ভিত্তিতে নির্ধারিত সুদের হারকে রেপো রেট বলা হয়।
বøুমবার্গের এক জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগই জানিয়েছিলেন, আরবিআই সুদের হারের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনবে না। গত এপ্রিলে ব্যাংকটি সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ২০১১ সালের পর সর্বনিম্নে নিয়ে আসে। বিগত ১৮ মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান রাজন বেশ কয়েক দফায় সুদের হার কমিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারের লক্ষ্যে দেশটির সরকার সুদের হার আরো বেশি কর্তনের আহ্বান জানিয়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ভারতের অর্থনীতি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ স¤প্রসারণ হয়েছে। এটা যে কোনো শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির তুলনায় অনেক বেশি।
এদিকে গভর্নর হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রঘুরাম রাজন। দুই মাস আগে তিনি আগামী সেপ্টেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও তার কোনো উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেনি সরকার। গভর্নরের দায়িত্ব পালনকালে রাজন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপরই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাস দিয়ে আগে থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে জনপ্রিয় রাজন। আরবিআইয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হন। ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন রাজন। যদিও জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নয়, ২০১৩ সালে গভর্নর হওয়ার পর ভারতের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতাও ফিরিয়ে এনেছেন রাজন, যা বিশ্বব্যাপী দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। এরপরও তার নীতিনির্ধারণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ দলের অনেকেই সমালোচনা করেছেন। আর এসব নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন রাজন। সূত্র : এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।