নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১১ সাল থেকে টেস্ট অলরাউন্ডারের মুকুটটা প্রায় চার বছর মাথায় রাখতে পেরেছেন সাকিব আল হাসান। সেই মুকুট এখন অশ্বিনের মাথায়। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট নিয়েও অশ্বিনকে টপকে যেতে পারছেন না সাকিব। বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট লড়াইটা যখন হায়দারাবাদে, তখন দু’দেশের এই দুই স্পিনারই থাকছেন স্পট লাইটে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে অভিজ্ঞতায় সাকিব যেখানে এগিয়েÑ ৪৬ টেস্টে ১৬৫ উইকেট যেখানে এই বাঁ-হাতি স্পিনারের, সেখানে ৪৪ টেস্টে ২৪৮ উইকেটে ভারতের প্রধান বোলিং স্তম্ভ অফ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। গত বছরে অশ্বিন ১২ টেস্টে ৭২ উইকেটে বছরে উইকেট শিকারে সবার উপরে। সেখানে দুই টেস্টে ১২ উইকেট সাকিবের। টেস্টে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পায় কালে-ভদ্রে, তাই এই পরিসংখ্যান বিচারে দু’জনের মানদÐ নিরুপণ করা সমীচীন নয়। তবে সম্প্রতি ইংল্যান্ডকে ৪-০ তে ভারত টেস্ট সিরিজ হারিয়ে দেয়ার আসল নায়ক অশ্বিন হোমে ভয়ংকর। ক্যারিয়ারে ৪৪ টেস্টে যেখানে অশ্বিনের উইকেট সংখ্যার সমস্টি ২৪৮, সেখানে হোমে ২৭ টেস্টে তার শিকার ১৮১ ! ক্যারিয়ারে যেখানে ইনিংসে ২৪ বার পেয়েছেন পাঁচটি করে উইকেটের দেখা, সেখানে হোমে ১৯ বার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন অশ্বিন। হায়দাবাদে ম্যাচটি হবে বলে আর এক ধাপ উপরে রাখতে হচ্ছে অশ্বিনকে। কারণ, হায়দারাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা ১৮টি উইকেট। যার মধ্যে ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে ছয়টি করে শিকার তার! টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ফতুল্লায় সর্বশেষ দেখায় পাঁচ উইকেটের ইনিংস আছে তার।
অশ্বিনকে নিয়ে এতো ভাবাবাবির কিছুই দেখছেন না বাংলাদেশ হেড কোচ হাতুরুসিংহে। উল্টো বাউন্সারের জবাবে করেছেন হুক বলেছেন, আমাদেরও তো সাকিব আছেন। ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেক, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে পাঁচ উইকেটের অতীত আছে সাকিবের। হায়দারাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বর্তমান দলটির মধ্যে কেবল সাকিবেরই। তবে অশ্বিনের সঙ্গে লড়াই মিডিয়া জমিয়ে দিলেও তা মাথায় আনতে চান না সাকিব- ‘এভাবে আমি চিন্তা করি না। আমি নিশ্চিত সেও চিন্তা করে না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেÑ নিজ দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারা। অশ্বিনের জায়গায় অশ্বিন ভালো করছে। আমার জায়গায় আমি ভালো করতে পারি। আমার যতটুকু অবদান রাখার সুযোগ আসে, সেটা করতে পারলেই আমি খুশি।’
অশ্বিনের ধারাবাহিক বোলিংয়ের পেছনে তার আত্মবিশ্বাসকেই প্রধান অস্ত্র মনে করছেন সাকিবÑ ‘গত দুুুই তিন বছর ধরে অশ্বিন দারুণ বোলিং করছে। ওর নিয়ন্ত্রণ অসাধারণ। সে যা চাচ্ছে, তাই করতে পারছে। এইরকম নিয়ন্ত্রণ থাকলে আর কিছু করার দরকার নেই! এই নিয়ন্ত্রণ থেকেই আসে আত্মবিশ্বাস। সে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা স্পিনার।’
হোমে ভারত সব সময়ই দুর্বার। তার উপরে সাম্প্রতিক অতীতটাও তাদেরকেও রাখছে সুপার ফেভারিট কাতারে। গত বছর ১২ টেস্টে হারেননি একটিতেও, যার মধ্যে জয় ৯টি। এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টেস্ট র্যাংকিংয়ে নাম্বার ওয়ানদের বিপক্ষে লড়াইটা তাই সাকিবের কাছে রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছেÑ ‘আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। প্রথমবার ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে পারা আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর। কাজটা সহজ হবে না। ভারত এই মুহূর্তে টেস্টের এক নম্বর দল। দেশের মাটিতে ওরা প্রায় অপারেজয়। তবে কাজটা কঠিন হলেও চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি আমরা। আসলেই তারা স্পিন ভালো খেলে। স্পিনের বিপক্ষে তারাই এই মুহূর্তে সেরা। তাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা বেশি। যদি এখানে আমরা ভালো করতে পারি, তাহলে শ্রীলঙ্কা সফরে তা আমাদেরকে উজ্জীবিত করবে।’ দল হিসেবে খেলার দিকেই তাকিয়ে সাকিবÑ ‘আমাদের একটি দল হিসেবে খেলতে হবে। যদি সেটা পারি এবং আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে পারি, আমরা টেস্টে ভালো করতে পারি।’ হায়দারাবাদ টেস্টের আগে দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচে বিশ্রামে থেকে বড় লড়াইয়ের রন প্রস্তুতিটা তাই নিচ্ছেন সাকিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।