পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়ার পরদিনই ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার মোতায়েন করে সামরিক মহড়া দিয়েছে ইরানের রিপাবলিক গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। গত শনিবার ইরানের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সেমনানে এ মহড়া শুরু করেছে আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশন। পাঁচদিনের প্রাথমিক পর্যায় শেষে বেলায়েতের আকাশ রক্ষক নামের এ মহড়া পুরোপুরি শুরু হয়। ৩৫ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মহড়া চলছে। এতে ইরানের সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি এ মহড়ার মাধ্যমে যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় ইরানের গোয়েন্দা কমান্ড এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিও তুলে ধরা হবে। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নানা পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার ব্যবস্থা মহড়া চলাকালে সামরিক অনুশীলনে ব্যবহার করা হবে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারী একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হলো ৩রা খোরদাদ। ৭৫ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় আঘাত হানতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে অনেক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া, ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোকাবেলা করতে সক্ষম এটি। মহড়ার অন্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রের নাম তাবাস। ৬০ কিলোমিটার পাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় আঘাত হানতে পারে। এটি সব ধরনের বৈরী লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া, ত্রিমাত্রিক ক্ষেপণাস্ত্র কাদির ১১০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে আকাশ পথের যে কোনো হুমকি শনাক্ত এবং তার পেছনে ধাওয়া করতে পারে। মাতলা-উল-ফজর নামের রাডার ব্যবস্থা ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে আকাশ পথের যে কোনো হুমকি শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া, শনাক্ত করতে পারে নানা ধরনের বিমান এবং ড্রোন। প্রেসটিভি, ফার্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।