বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্পোর্টস ডেস্ক : চেলসির মতো বিশ্ব বিখ্যাত ক্লাব ছেড়ে যখন চীনের অখ্যাত ক্লাব সাংঘাইতে নাম লেখালেন, তখন অনেকেই ভ্রæ কুচকেছিল। সুনাম আর ঐতিয্য ছেড়ে অস্কার নাকি চীনে পাড়ি দিয়েছেন শুধুই টানার লোভে। আসলেই কি তাই? হ্যাঁ, ৬০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি আর সাপ্তাহিক চার লাখ ইউরো বেতনের ব্যাপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়। সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছেন ব্রাজিলের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
জাতীয় দলের স্বতীর্থ হাল্কের মাধ্যমে নাকি এক বছর আগেই দূর প্রাচ্য থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন অস্কার। কিন্তু তখন সেই ডাকে তিনি সাড়া দেননি। চলতি ২০১৬-১৭ মৌসুমে চেলসির জার্সিতে মাত্র পাঁচবার মাঠে নামার সুযোগ পান ২৫ বছর বয়সী। চেয়েছিলেন বøু শিবিরের মূল একাদশে নিয়মিত হতে। কিন্তু তা না হওয়া আর বিশাল অঙ্কের অর্থ, দুইয়ে মিলে চায়না ফুটবলের প্রস্তাব এবার আর ফিরিয়ে দিতে পারেননি।
অস্কার বলেন, ‘গত বছর চায়নিজ ফুটবল থেকে আমার কাছে প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু এ নিয়ে আমি আর আলোচনাই করতে চাইনি। এবার তাদের প্রস্তাবে আমি আগ্রহ দেখাই এবং সবকিছুই মিলে যায়।’ ব্রাজিলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে ১২ গোল করা এই ফুটবলার বলেন, ‘হ্যাঁ, অর্থের হাতছানির বিষয়টা গুরুত্বপূণর্, কিন্তু অর্থই সব নয়। আমি সেচ্ছায়ই সেখানে যাচ্ছি না, আমার সাথে আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা আছে, তাই শহরটাও চমৎকার হতে হবে। আমি চেলসিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই যখনই জানলাম সাংঘাই আমার প্রতি আগ্রহী, শুনে খুশি মনে সম্মতি জানালাম।’
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে পাঁচ মৌসুমে তিনটি শিরোপা জেতেন অস্কারÑ প্রথম মৌসুমের শেষ দিকে জেতেন ইউরোপা লিগ, ২০১৪-১৫ সালে জেতেন প্রিমিয়ার লিগ ও লিগ কাপ ডাবল। তবে পরিচিত আঙ্গিনা ছেড়ে যাওয়াটা যে সহজ ছিল না, সেটাও জানান তিনি, ‘এটা ছিল কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি সেখানে পাঁচ বছর খেলেছি এবং অনেক সুন্দও মুহূর্ত নিয়েই সেখানে ছিলাম। দল এবং দলের সাপোর্টারদের উপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে।’ দলের যে কোচ সেই অ্যান্তোনিও কোন্ত সম্পর্কে অস্কার বলেন, ‘কোন্তে খুবই ভালো একজন ব্যক্তি। সে আমার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং বুঝতে পেরেছে আমি নিয়মিতভাবেই খেলতে চাই। যখন সে চেলসিতে আসল, তখন তাকে জানিয়েছিলাম আমার প্রতি অনেক দলের আগ্রহের কথা। সে বলেছিল আমি তার পরিকল্পনার অংশ তাই আমি থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু ব্যাপারটা ওরকম ছিল না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।