Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই যাচাই-বাছাই কমিটিতে কমান্ডারকে না রাখায় ৩ দিনেও বাছাই শুরু হয়নি

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নতুন করে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৩ দিনেও শুরু করা যায়নি। বাছাই কমিটিতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারকে অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে বাছাই কার্যক্রম বর্জন করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সোমবারও কোন আবেদনকারী হাজির হয়নি। এমনকি যাচাই-বাছাই কমিটির ৪ জন সদস্যও সেখানে উপস্থিত হননি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এএসএম নজরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্ব-স্ব উপজেলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক হলেও নির্দেশনা থাকলেও চিলমারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
সোমবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এএসএম নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাচাই শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চিলমারী উপজেলায় গত ২৮ জানুয়ারি যাচাই-বাচাইয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্ব-স্ব উপজেলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক রাখার নির্দেশনা থাকলেও চিলমারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের গেজেটকে তোয়াক্কা না করে হীন চক্রান্ত চালিয়ে আমাকে কমিটির বাইরে রেখে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির চিলমারী উপজেলায় মোট ৪৩১ আবেদন করেন। ৭ সদস্যের বাছাই কমিটিতে সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির আরো ৫ জন সদস্য রয়েছেন। উপজেলা কমান্ডার এএসএম নজরুল ইসলামকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বরং ডেপুটি কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদের নাম দু’বার উল্লেখ করা হয়েছে। এই জটিলতার কারণে শনিবার থেকে পূর্ব নির্ধারিত বাছাই কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম জানান, উপজেলা কমান্ডারকে বাদ দিয়ে ডেপুটি কমান্ডারের নাম দু’বার উল্লেখ করায় সংশোধনী পাঠানো হয়েছে। সে কারণে তারা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে অংশ নেননি।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর্জা মুরাদ হাসান বেগ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদে কমান্ডার কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি আবেদন করেছেন। আবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রকৃত

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ