রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এম এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর সড়কের (দিনাজপুর-বিরল-পাকুড়া-রাধীকাপুর) বিরল কাঞ্চনমোড় হতে পাকুড়া পর্যন্ত ৩টি প্যাকেজের মধ্যে ২য় প্যাকেজ এর কাজ নি¤œমানের চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প এলাকায় টাঙ্গানো হয়নি প্রকল্পের বিবরণীর সাইনবোর্ড। ওই সড়ক প্রস্তুতকরণসহ ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণেরও কাজ হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ কাজের স্টিমেট দেখতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে স্টিমেট নেই বলে সাফ জানিয়ে অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলছেন। যেন দেখার বা বলার কেউ নেই। কাজির গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই প্রবাদ বাক্যের মত চলছে এই প্রকল্পের কাজ। এলাকার জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর-বিরল স্থলবন্দর সড়কের পূর্বমহেশপুর হতে বিনোদপুর (বুনিয়াদপুর) বাজার এর মধ্যবর্তী ১ কিমি সড়কে গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কার্পেটিং ও সিলকোটের কাজ করতে দেখা গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ জেলার মেসাস মাইনুদ্দিন বাসি এর লোকজন বলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিদেশনা মোতাবেক কাজ করছি। কাজের ব্যাপারে জানতে হলে সওজ এর লোক আছে তাঁর সাথে কথা বলেন। আমরা কোন কিছুই আপনারে জানাতে পারবো না। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী মাসুদ নামের একজন কর্মচারীকে কাজ তদারকীতে পেয়ে তাঁর নিকট কাজের স্টিমেট দেখতে চাইলে তিনি অফিসে আছে বলে জানান। কিভাবে কাজ বুঝে নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে স্যার যেভাবে কাজ করতে বলছে, সেইভাবে করে নিচ্ছি বলে তিনি জানান। পরপর ৪ দিন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে সরেজমিন কোন সহকারী প্রকৌশলী কিংবা কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকের একটিদল দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে কথা হয় সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (এসডি) কে এম নকিবুল বারির সাথে। তাঁর কাছে ওই সড়কের কাজের স্টিমেট দেখতে চাইলে তিনিও স্যার ছাড়া দেখাতে পারবেন না বলে জানান। নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার ঢাকায় আছেন, রবি অথবা সোমবারে স্যারের সাথে দেখা করে স্টিমেট দেখে নিতে বলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝে নি¤œমানের কাজ চলতে থাকলে তার দায় কে নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরো জেলায় আমি একাই সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (এসডি) পদে আছি। জেলার ১৩ থানায় অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলছে একদিন ঘোড়াঘাট বা পার্বতীপুর থানায় গেলে সেদিন আর বিরল বা বোচাগঞ্জ থানায় অনেক দূরত্বের কারণে যাওয়া সম্ভব হয় না। এলাকাবাসীর অনেকে জানান, যেখানে ৪০ মিঃমিঃ কার্পেটিং ও ১২ মিঃমিঃ সিলকোট হওয়ায় কথা সেখানে ৩৫-৪৫ মিঃমিঃ পর্যন্ত কার্পেটিংসহ সিলকোড কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সওজ কর্তৃপক্ষের লোকজনকে নি¤œমানের বিটুমিনাস ও পাথর দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ সম্পন্ন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে মৌখিক অভিযোগ দিলে তাদেরকে সওজ এর কার্যসহকারী মাসুদ জানিয়েছেন, মেশিন দিয়ে কাজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মুখে বলে কোন লাভ নেই, মেশিনই কথা বলবে, সওজ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি মেশিন দিয়ে মেপে কাজ বুঝে নিবেন। তাই দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত সাপেক্ষে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসী জোরালো দাবী জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।