কাগজের ঘোষণা দিয়ে বিদেশি সিগারেট আমদানি করে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির আরো একটি অপচেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা একটি কন্টেইনার আটক করা হয়। এ নিয়ে মাত্র এক মাসের মাথায় চট্টগ্রামে বড় দুটি সিগারেটের চালান আটক হলো।
কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম ইনকিলাবকে বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের জে কে স্টেশনারি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। সন্দেহজনক সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক, রফতানিকারক, বন্দর, পণ্য ও পণ্যের তৈরি দেশ বিবেচনায় কন্টেইনার সংশ্লিষ্ট বিল অব ল্যাডিং বøক করে রাখে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত ৪ ফেব্রæয়ারি দুবাইয়ের জাবেল আলী বন্দর থেকে এমভি এক্সপ্রেস নেপ্টস জাহাজ যোগে কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসলেও পণ্য খালাসের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী কন্টেইনার খুলে পণ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় কাস্টম হাউসের এআইআর (অডিট, ইনভেস্টগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) টিম। কন্টেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮ টি কার্টুন রয়েছে যার মধ্যে প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ এবং নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী প্যালেটসমূহে ৪৮ কার্টনের মধ্যে উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং ২ থেকে ৪র্থ স্তর পর্যন্ত ৩৬ কার্টনে খুলে উপরে এক রীম এ ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়। কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট।
শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় ২৪ হাজার ৯৯০ কার্টনে ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার শলাকা বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়া এ ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় ১৩.৭ টন। পণ্যচালানটিতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রয়ারি এই প্রক্রিয়ায় আমদানিকৃত অপর এক প্রতিষ্ঠানের (করিম ট্রেডিং) পণ্যচালান আটক করে ২৩ হাজার কার্টনে ৪৬ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। তাতে শুল্কফাঁকির চেষ্টা হয় ১১ কোটি টাকা।