গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে তিন ‘জেএমবি সদস্যের’ বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের উপর শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত পিবিআইকে আগের তদন্ত কর্মকর্তার চেয়ে একধাপ উপরের দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আদালত কোন সময়সীমা বেঁধে দেননি।
২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর নগরীর নালাপাড়া, কাজীর দেউড়ি ও কসমোপলিটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ (২৬) ও শওকত রাসেল (২৬) এবং নাইমুর রহমান নয়নকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকায় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার ফারদিনের বাসার সন্ধান পাওয়ার কথা জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার। সেখান থেকে রাইফেল, বিস্ফোরক ও সামরিক পোশাক উদ্ধারের কথাও সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এই তিনজনকে পরবর্তীতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ আলম বায়েজিদ থানার বিস্ফোরক মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিন জেএমবি সদস্যের সম্পৃক্ততা এবং নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।