নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বেলায় সাকিবের এক স্পেলে (৩-০-৮-৩) ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ২৯ রানে এগিয়ে থেকে স্বাগতিকদের উপর তৈরি করেছে চাপ। বৃষ্টির কারণে ওই দিনের শেষ ঘণ্টা হয়নি খেলা, টেস্টের তৃতীয় দিনের পুরোটা ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। সারাদিন ওয়েলিংটনের হেগলি ওভালের ড্রেসিং রুমে অপেক্ষা করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ঘোষণা ম্যাচ রেফারি শ্রীনাথ দিয়েছেন বেলা ৪টায়। অলসভাবে কাটিয়ে দেয়া দিনটি বাংলাদেশের দারুণ কিছু’র সম্ভাবনার পথে তৈরি করেছে বাধা। অতীতে নিউজিল্যান্ড সফরে বৃষ্টি বিঘিœত টেস্ট ভুগিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ২ দিন ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। একটি বলও গড়ায়নি ওই ২ দিন। অবশিষ্ট ৩ দিন পার করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরে গেছে বাংলাদেশ ইনিংস এবং ৫২ রানে! পুরো ম্যাচে খেলা হয়েছে মাত্র ১৮১.৩ ওভার (২ দিনের মতো)। একদিনের ১৮ উইকেট পতনের মতো অতীত অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ দলের। যে দিনে দু’বার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। শেষ দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ১৩.১ ওভা এক ঘণ্টার চেয়েও কম। ওই সফরের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেছে ইনিংস এবং ৭৪ রানে। সেই ম্যাচেও বৃষ্টি দিয়েছে হানা- প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ২৪ ওভার, দ্বিতীয় দিনের পুরোটা ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। তৃতীয় দিনে দু’দলের পড়েছে ১৬টি উইকেট, যার মধ্যে বাংলাদেশের উইকেট সংখ্যা ছিল ১৫টি! চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ১৭ ওভার! এই ম্যাচটিতে খেলা হয়েছে ১৯৩ ওভার (২ দিনের চেয়ে অল্প বেশি)। ওয়েলিংটন টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও এই অতীতটা বাংলাদেশ দলকে রাখতে হচ্ছে মাথায়।
অবশিস্ট ২ দিনে বৈরী আবহাওয়া বিঘিœত না করলে দিনে নির্ধারিত ৯০ ওভারের বাইরেও অন্তত এক ঘণ্টা বাড়তি যোগ হবে। সে কারণেই বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না বাংলাদেশ দল। সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যই থাকবে বলে গতকাল জানিয়েছেন টেস্ট অভিষিক্ত উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান- ‘খেলা ছাড়া আপাতত নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ হয়নি। এ অবস্থায় ম্যাচ ড্র’ করাটা আমাদের প্রথম টার্গেট থাকবে। ভালো কোনও সুযোগ এলে মাঠেই নতুন পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।’
ম্যাচের অবশিষ্ট ২ দিন বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ইতিবাচক ক্রিকেট। সেই দৃষ্টি ভঙ্গির কথাই জানিয়েছেন সোহান- ‘সোমবার খেলা শুরু হওয়ার পর বোঝা যাবে ম্যাচের অবস্থা। তবে ইতিবাচক থেকেই মাঠে সেরা খেলাটা আমাদের খেলতে হবে।’ টি-২০ থেকে ওয়ানডে, ওয়ানডে থেকে টেস্ট- তিন ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নূরুল হাসান সোহানের অভিষেক হয়েছে মুশফিকুর রহিমের ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতিতে। টেস্ট অভিষেকে ৪৭ রানের ইনিংসের পাশে ২টি ডিসমিসালে চিনিয়েছেন নিজের জাত। তবে তার জন্য বিশেষ কোন পরিকল্পনা করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন সোহান- ‘ মাঠে নামার পর ভিন্ন কিছু মনে হয়নি। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেষ্টা করেছি। এখানকার উইকেট, কন্ডিশন অবশ্যই আমাদের ওখানের চেয়ে আলাদা। এখানে ওয়ানডেতে যে রকম উইকেটে খেলেছি, সেসব উইকেটের সঙ্গে টেস্টের টেস্টের উইকেট মিল পাইনি। চেষ্টা ছিল সময় নিয়ে ব্যাট করার।’ ৪৯টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫টি সেঞ্চুরির পাশে ১৩টি ফিফটি, গড় ৪১.৮১ও আদর্শ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের মতোই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাটিং রেসিপিটাই প্রয়োগ করেছেন সোহান অভিষেক টেস্টে- ‘প্রথম শ্রেণির ম্যাচে যেভাবে সাধারণত: খেলি, টেস্ট অভিষেকে সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। ব্যাটিং কোচ, হেড কোচের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছি।’ অভিষেক ইনিংসে আলো ছড়ালেও আরো শিখতে চান সোহান- ‘এখনো শেখার অনেক কিছু বাকি আছে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা, তা নিয়ে দলের সিনিয়র ভাইদের সাথে কথা বলে ভুল-ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করব।’ ইনজুরি থেকে ফিরলে জায়গাটা যে দিতে হবে মুশফিকুরকে ছেড়ে, সেই মানসিক প্রস্তুতি আছে সোহানের-‘মুশফিক ভাই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ উইকেট কিপার। আশা করি সুস্থ হয়ে তিনি আবার তার জায়গায় ফিরে আসবেন। কারণ বাংলাদেশ দলকে তার দেয়ার এখনও অনেক কিছু আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।