বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের আলমদার পাড়া গ্রামে মাজারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি রাত প্রায় দেড় টার সময় হযরত মুখলেছুর রহমান শাহ্ মাইজভান্ডারীর বার্ষিক ওরশ চলাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ইট,পাটকেল নিক্ষেপ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় বার রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৪ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। এদের মধ্যে রয়েছে সিফাত(১৯), মুন্না তালুকদার(১৯), শফিউল আলম (১৫), তারেক হোসেন(১২), ইট পাটকেলে আহতদের মধ্যে রয়েছে পারভেজ আলমদার(১৮), জীবন চৌধুরী(২৭), সালাম তালুকদার (৫২), মঞ্জু তালুকদার(৩০), সিফন তালুকদার(২৭), সৈয়দ আলমদার(৫০), রফিক আহমদ(৫২), পটিয়া থানার এসআই নাদিম মাহমুদ ও তার সাথে তিন কনেস্টবল রয়েছে। আহতদের প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সিফাতের অবস্থা আশংকা জনকবলে জানা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার আলমদার পাড়া গ্রামের হযরত মুখলেছুর রহমান শাহ্ মাইজভান্ডারীর আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় নুরুল ইসলাম ফকিরের লোকজনের সাথে আবদুল গণি মাস্টারের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন্দল চলে আসছিল। উক্ত দিন ওরশ চলাকালীন দু’পক্ষের বক্তদের মহিষ, গরু গ্রহণ নিয়ে কোন্দল হলে আবদুল গণি মাস্টারের লোকজনের সাথে দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, এ ঘটনা নিয়ে পুলিশের পক্ষে ও মাজার কমিটির দু’পক্ষের দু’টি মামলা হওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।