গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপের্টার : রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন ও বায়তুল মোকাররমের আশপাশ এলাকার ফুটপাতে পঞ্চম দিনের মতো হকারদের উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু হকার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসতে থাকেন। দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযান শেষ হওয়ার পর হকাররা আবার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেন।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার। এ সময় ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার বলেন, হকার উচ্ছেদের আজ পঞ্চম দিন। নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব হকার গুলিস্তান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই দোকান নিয়ে বসেছিলেন, তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গুলিস্তান-পল্টন ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হকাররা ফুটপাতে টুকরি এমনকি চৌকিতেও দোকান নিয়ে বসেন। ডিএসসিসির নির্দেশ উপেক্ষা করে অনেক হকার দোকান খুলে রাখেন। দুপুর ২টার দিকে ডিসিসি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় হকাররা দোকানের মালামাল নিয়ে সরে গেলে তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, বাক্স ইত্যাদি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। বায়তুল মোকাররমের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, ১২ বছর ধরে আমরা ফুটপাতে ব্যবসা করছি। বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। পেটের টানে নির্দেশনা না মেনেই দোকান খুলেছি।
হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নগর ভবনের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান, মতিঝিল ও এর আশপাশ এলাকার ফুটপাতে দিনের বেলা কোনো হকার বসতে পারবে না। তবে অফিস সময়ের পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে তারা গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় বসতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।