পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘নাম তার মতিঝিল বহুদূরে জল/ হাসগুলো ভেসে ভেসে করে কোলাহল/ পাকচেয়ে থাকে বক চিল উড়ে চলে’। আজকের এদিনে অবিশ্বাস্য হলেও কবি হয়তো কখনো এমনই দৃশ্য দেখেছিলেন মতিঝিলে। মতিঝিলের পানিতে কোন একদিন হাসেরা কোলাহল করলেও এখন তার দখল নিয়েছে কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনা। আর এ কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই এখন মশারা ভেসে ভেসে কোলাহল করে। সেই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আশেপাশের এলাকার মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে মতিঝিলের যে যৎসামান্য অংশবিশেষ এখনো দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে কাদা পানি, ময়লা-আবর্জনা আর কচুরিপানার দখলে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ এটা এখন মশা উৎপাদনের কারখানা। এ খাল বা ঝিলটির মালিক নামকাওয়াস্তে ঢাকা ওয়াসার থাকলেও বর্তমানে অনেকটাই অভিভাবকহীন এই ঝিলটি দীর্ঘদিন ধরে অযতœ আর অবহেলায় রয়েছে। ভূমিদস্যু আর দখলদার অসাধু চক্রের কবলে পড়ে এ ঝিলটির বড় অংশই ক্রমে ক্রমে দখল হয়েগেছে। বকি যেটুকুন রয়েছে তানিয়েও দীর্ঘদিন ধরে গোপিবাগের জনৈক ব্যক্তি মামলা করে রেখেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি মোহাম্মদ সোলতান মিয়া বলেন, এখন নাম মত্র যে অংশটুকু বাকি আছে সে অংশটুকুও সেই চিহ্নত অসাধু চক্রের স্বার্থেই জেগে আছে। কারণ জেগে থাকা এই সামান্য অংশদিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছন থেকে দেওয়ানবাগের উটের খামার পর্যন্ত প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নৌকা পারাপার হয়। এ থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকার রাজস্ব ইনকাম হলেও তা সরকারি কোন সংস্থাই পাচ্ছে না। এই টাকা স্থানীয় দখলদার অসাধু চক্রই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের ঝিলে কখনও মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে কলে কেউ বলতে পারেনি। এটি পরিষ্কারও করা হয় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই ঝিলটিকে ‘মশার খামার’ বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ সুলতান মিয়া। মাঝে মধ্যে ঝিলটি পরিষ্কার করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান তিনি। মাঝে মাঝে কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মীরা কিছু কিছু কচুরিপানা পরিষ্কার করেন। আর আমাদের মশক নিধন কর্মীরা সকাল বেলায় লার্ভিসাইডিং করে। কিন্তু এটা সাফিসিয়েন্ট না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এই খাতে বিশেষ তহবিল রয়েছে বলে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলতান বলেন, এ বিষয়ে কখনো কর্পোরেশনে যোগাযোগ করিনি। তাই বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন, এই ঝিলটিকে উন্নয়ন করে এলাকাবাসীর পছন্দমত করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের একটি পরিকল্পনার কথা সাম্প্রতিক জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে কর্পোরেশনের আইন বিভাগ থেকে জানানো হয়, এটা নিয়ে স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে কোর্টি মামলা করে রেখেছে। তাই মেয়রের সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কাউন্সিলর সোলতান জানান।
গতকাল শনিবার কমলাপুর স্টেশন থেকে মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে ফুটপাত নর্দমার উন্নয়ন কাজ চলছে। নির্মাণাধীন নর্দমায় পানি জমে আছে। আর তাতে জন্মেছে মশা। এই সড়কের ফুটপাতের দোকানদার শামছুল ইসলাম জানান, এসব মশা সারাদিনই কামড়ায়। দ্যাখেন, কী মশা হইছে ড্রেইনে। মশার কামড়ের চোটে এইখানে বইসা থাকন যায় না। এইখানে কেউ মশার ওষুধও ছিডায় না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দীন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এরিয়ায় ৪৮৩ বিঘা জলাশয় রয়েছে। এগুলো পরিষ্ককার করার জন্য আমি বহু আগেই ১, ২ ও ৫ নং আঞ্চিল কর্মকর্তাদের (আনিক) লিখিতভাবে নোটিশ করেছিলাম। কিন্তু তারা এ ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে বিষয়টি আমি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লালকে জানিয়েছি। বর্তমানে ডিএসসিসি’র প্রনিক এ বিষয়টি দেখছেন। তিনি বলেন, ডোবা, নালা ও জলাশয় থেকে ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিক্ষারের কাজ করতে আমাদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়াও এ কাজে রয়েছে নানা জটিলতায়। যে কারণে আনিকরা এই জলাশয়গুলো পরিষ্কার করতে চায় না। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।