Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমন যদি থাকত! গুলিস্তান টু মতিঝিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আহা কি চমৎকার! গুলিস্তান থেকে মতিঝিলের ফুটপাত হকারমুক্ত ঝকঝকে তকতকে। নগরবাসী পথ চলছেন বাধাহীন। আহা!! সব সময় ঢাকার ফুটপাত এমন যদি থাকতো!!! সত্যিই ঢাকার নাভী গুলিস্তান ও মতিঝিল হকারমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সরেজমিন ঘুরে এ চিত্রই দেখা যায়।
‘যেখানে নিরাপত্তা ব্যত্যয়, সেখানেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’ এই ¯েøাগানে নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে নানমুখী উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে দখলকরা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গত বুধবার থেকে টানা অভিযান চালিয়েছে ডিএমপি। ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের একটি টিম অবৈধভাবে দখল করা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, সুন্দরবন মার্কেট, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, বঙ্গবন্ধু পাতাল মার্কেট, গোলাপ শাহ মাজার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটক এলাকা থেকে সকল প্রকার হকার উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে পল্টন, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। হকারমুক্ত পরিবেশে স্বস্তিতে চলাচল করছে পথচারী। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। মতিঝিল শাপলা চত্বরের চারপাশে বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দু’পাশে হকাররা নানা ধরণের পণ্যের পশসা সাজিয়ে বসতো। এমনকি মাছ গোশত বিক্রি করা হতো ফুটপাতে। যার জন্য পথচারীরা নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারতো না। অধিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা ও আইন শৃংখলা বাহিনী সিÐিকেট করে ফুটপাতের দোকান থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো। হকাররাও এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। গতকাল মতিঝিলে ব্যাগে কয়েক জোড়া জুতার নিয়ে বসে আসেন এমন একজন হকার জানান, ফুটপাতে বসতে দেয়া হয়নি বলে তিনি জুতার ব্যাগ নিয়ে বসে রয়েছেন। সুযোগ পেলে যদি দু’একজোড়া জুতা বিক্রি করতে পারেন সে আশায় রয়েছেন। তবে মতিঝিলে রাস্তায় প্রচুর প্রাইভেট কার পার্ক করে রাখার দৃশ্য দেখা যায়। হকারদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আমরা ফুটপাতে দোকান বসিয়ে জীবন চালাই। আমাদের উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর ধনী সম্পদশালীরা রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে রেখে রাস্তা বন্ধ করেছে; তাদের গাড়ি উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে না কেন?
ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মতো ব্যস্ত জায়গায় ফুটপাত দখল থাকার কারণে পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। যার ফলে একদিকে যেমন পথচারীদের চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়, অন্যদিকে রাস্তা দিয়ে হাঁটার ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। পথচারীরা যাতে ফুটপাত দিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং যানজট নিরসনের বিষয়টি মাথায় রেখে গুলিস্তান এলাকায় চালানো হয় হকারমুক্ত অভিযান। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন ও বাংলাদেশ হকার্স লীগের সভাপতি এম এ কাশেম গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, পথচারিদের চলাচলের সুবিধার্থে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল হকারদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু তা এখনও হয়নি। আমি হকারদের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মতিঝিল

১৬ জানুয়ারি, ২০২১
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ