গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তরে ডিএনসিসি’র সাতটি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের ১২টি ভবনের বিষয়ে কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না মেয়র আনিসুল হক। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি মার্কেট ভবন এবং ১৪১টি ঝুঁঁকিপূর্ণ বাড়ি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা করপোরেশন মালিকানাধীন বিপণি বিতানগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে একথা জানান তিনি।
এসমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ দায় কে নেবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ ও মেয়র কেউই নিতে রাজি হয়নি।
আনিসুল হক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনগুলো ছেড়ে যেতে বলা হলেও ব্যবসায়ীরা তা শুনছেন না। আর বিপণি বিতানগুলো স্থানান্তরের জায়গাও নেই সিটি করপোরেশনের কাছে।
আমি চাইলেই কাল সকালে একটি মার্কেট বানাতে পারব না। আমার কাছে সেই টুলস নেই। সুতরাং কী করব, সে উত্তর আমার পক্ষে দেয়া খুব মুশকিল। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব, কিন্তু এটার কোনো শর্ট টার্ম সলিউশন নাই। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিপণি বিতানগুলোর ব্যবসায়ীরা কোনো পরামর্শ নিয়ে এলে তা ভেবে দেখা হবে বলে জানান আনিসুল হক। সে ক্ষেত্রে মেয়র ২৪ ঘণ্টা খাটবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুলশান ১ নম্বরের কাঁচা বাজার, গুলশান-২ নম্বরের কাঁচাবাজার, খিলগাঁও তালতলা কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজার মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, গাবতলীর প্রান্তিক সুপার মার্কেট এবং আমিনবাজার ট্রাক স্ট্যান্ড মার্কেটের ১২টি ভবন খুবই ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এর মধ্যে যেগুলো অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলে জানান মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মেয়র পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বর্তমান চিত্র সাংবাদিকদের দেখান। নিয়ম না মানায় মার্কেট ভবনগুলো আজকের এ অবস্থায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব ভবনের ঝুঁকির বিষয়ে সবাইকে নোটিস দেয়া হলেও তাতে ফল আসছে না বলে জানান মেয়র।
এসব মার্কেটে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা বলেছি, এসব ভবন রিস্কি, ছেড়ে দেন। উনারা ছাড়েন না। সেখানে দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কেন দায় নেবে?
এসব ভবন ভেঙে ফেলা হবে কি নাÑ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমাদের কোনো প্ল্যান নেই। এগুলো ভাঙতে হলে রাজউককে ভাঙতে হবে। আপনারা যেন আমাদেরকে দায়ী না করেন সেজন্য আজকে আপনাদের স্পষ্ট করে দিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর সিটি করপোরেশনের মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আনিসুল হক ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আপনাদের সাথে বসেছি যেন আর কোনো ডিএনসিসি মার্কেটে এমন ঘটনা না ঘটে। ব্যবসায়ীদের বসার অস্থায়ী ব্যবস্থা করে এসব মার্কেট ভাঙার দাবি করেন মোহাম্মদপুর পাকা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এসব মার্কেটে দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা এর দায়ভার নেব না। তালতলা খিলগাঁও মার্কেট বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন আওলাদ ওই মার্কেট না ভেঙে মার্কেটের দোতলা সংস্কার করে দেয়ার দাবি জানান। সবাই যদি বলেন, মার্কেট ভাইঙ্গা ফালাইয়া দেন, তাহলে তো হবে না। ব্যবসায়ীরা যাবে কোথায়?
মেয়র জানান, ওই মার্কেট যদি সংস্কার করে দেয়ার অবস্থায় থাকে, তাহলে তা করা হবে। কারওয়ান বাজার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরকত উল্লাহ অভিযোগ করেন, তাদের ভবনে সংস্কারের কাজ শুরু হলেও পরে সে কাজ এগোয়নি। জবাবে মেয়র জানান, প্রথমে যে বাজেট দেয়া হয়েছিল, প্রকৃত সংস্কার ব্যয় এর চেয়ে বেশি হওয়ায় সেটি করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।