নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়েলিংটনে সাকিবের ২১৭ রানের ইনিংস টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। ২০১৫ সালের এপ্র্রিলে খুলনা টেস্টে প্রাকিস্তানের বিপ্রক্ষে তামিম ইকবালের ২০৬ রানের ইনিংস ছিল ইতোপ্রূর্বের সেরা।
টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক চার ছক্কায় এতোদিন আশরাফুল (২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৫৮* রানের ইনিংসে ২৪ চার ৩ ছক্কা =২৭টি), মুমিনুল হক (২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৮১ রানের ইনিংসে ২৭ বাউন্ডারি) যৌথভাবে ছিল শীর্ষে। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৩১টি বাউন্ডারির রেকর্ড এখন সাকিবের।
টেস্টে যে কোন জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩৫৯ রানের জুটি ওয়েলিংটন টেস্টে গড়েছেন সাকিব-মুশফিক। আগের সর্বোচ্চ প্রার্টনারশিপ্রের রেকর্ড ছিল ২০১৫ সালে প্রাকিস্তানের বিপ্রক্ষে খুলনা টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে প্র্রথম উইকেট জুটিতে তামিম-ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের জুটি।
টেস্টে ইতোপ্রূর্বে গল এ শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে ২০১৩ সালে ৫ম উইকেট জুটিতে আশরাফুল-মুশফিকুরের ২৬৭ রানের জুটি ছিল এই জুটির সর্বোচ্চ। তা ছাড়িয়ে ওয়েলিংটনে সাকিব-মুশফিকুরের প্রার্টনারশিপ্র থেমেছে ৩৫৯ রানে।
টেস্ট ইতিহাসে ৫ম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিকুরের এই কৃতি ৫ম সর্বোচ্চ। ১৯৪৬ সালে সিডনী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান ও সিডনি বার্নসের ৪০৫ এখনো ৫ম জুটিতে সর্বোচ্চ।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ৫ম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ রান ৫ম উইকেট জুটির সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রঞ্চম জুটিতে ইতোপ্রূর্বে সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৪ সালে ওয়েলিংটনে স্বাগতিকদের বিপ্রক্ষে প্রাকিস্তানের ইনজামাম-সেলিম মালিকের ২৫৮। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে কোন জুটির সর্বোচ্চ রেকর্ডে অবশ্য সাকিব-মুশফিকুরের এই প্রার্টনারশিপ্র তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৯১ সালে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে এই ওয়েলিংটনে কিউই ৩য় জুটি মার্টিন ক্রো-জোন্সের ৪৬৭ এখনো সবার উপ্ররে। ২০১৫ সালে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে এই ওয়েলিংটনে ওয়াটলিং-কেন উইলিয়ামসের ৩৬৫ রানের প্রার্টনারশিপ্র অবস্থান করছে সাকিব-মুশফিকুরের প্রার্টনারশিপ্রের উপ্ররে।
নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ৫ম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ সেরা। ১৯৭৬ সালে লাহোরে জাভেদ মিয়াদাদ ও আসিফ ইকবালের ২৮১ ছিল ৫ম উইকেট জুটিতে ইতোপ্রূর্বের সেরা। ২০০৮ সালে ডানেডিনে ওপ্রেনিং প্রার্টনারশিপ্রে জুনায়েদ সিদ্দিক-তামিমের ১৬১ রানের প্রার্টনারশিপ্র ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশের ইতোপ্রূর্বের সেরা। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে মুশফিক-মেহরাব জুনিয়রের ১৪৪ রানের প্রার্টনারশিপ্র ছিল এতোদিন নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ৫ম জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
তামিম ও ইমরুল জুটির প্রর বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি হিসেবে টেস্টে দুই হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন সাকিব-মুশফিক। টেস্টে এই জুটির তিনটি সেঞ্চুরি, ১৪টি হাফ সেঞ্চুরির প্রার্টনারশিপ্রে ওয়েলিংটনে সাকিব-মুশফিকুর জুটি প্রৌছে গেছেন ২ হাজার রানে (২ হাজার ১৭ রান)। তামিম-ইমরুল জুটির রান সেখানে ২ হাজার ২২৯।
নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ইতোপ্রূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ৫০১ । সেই রেকর্ড টপ্রকে ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪২/৭। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ইতোপ্রূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১০ সালে হ্যামিল্টনের ৪০৮। সেই রেকর্ডও হয়ে গেছে অতীত।
২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে ৬৩৮ স্কোর টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তবে উপ্রমহাদেশের বাইরে টেস্টে কোন ইনিংসে ৫’শ রান এটাই প্র্রথম। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশের ৪১৬ ছিল এতোদিন উপ্রমহাদেশের বাইরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। ৬ষ্ঠ বারের মতো ইনিংসে ৫’শ প্রøাস স্কোরে এটি ৪র্থ সর্বোচ্চ। প্র্রথমে ব্যাট করে সাকিব-মুশফিকুর কীর্তিগাথা ম্যাচে ৫৪২/৭ স্কোর আবার টেস্টে প্র্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে এই প্র্রথম কোনো টেস্টে এক ইনিংসে একশ’ ওভার ( ১৩৬.০ ওভার) ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশ খেলেছিল সর্বোচ্চ ৯৭.৩ ওভার।
এই প্র্রথম কোনো টেস্টে বাংলাদেশের প্র্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৪ জন অন্তত: ফিফটির দেখা প্রেয়েছে। তামিম ও মুমিনুল করেছেন হাফ সেঞ্চুরি, সাকিব ডাবল সেঞ্চুরিএবং মুশফিক করেছেন সেঞ্চুরি।
টেস্টে দেড়’শ উইকেট এবং ৩ হাজার রানে বিরল কৃতিত্বে এতোদিন খোঁদাই করে লেখা ছিল যাদের নাম, সেই এলিট ক্লাবের সদস্যপ্রদ প্রেয়েছেন সাকিব (১৪তম) গতকাল। ৫০’র নিচে টেস্ট খেলে এমন গর্বিত রেকর্ডে শুধু একাই সাকিব।
দারুন মাইলস্টোনের দিনে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজারী ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন রসাকিব। হাবিবুল বাশারকে (৩ হাজার ২৬) ছাড়িয়ে এখন টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের (৩ হাজার ১৪৬)। বাংলাদেশের হয়ে বেশি টেস্ট রানের মালিক এখনো তামিম (৩ হাজার ৪০৫)।
টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮০ টি বাউন্ডারির রেকর্ডটাও গড়েছে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।