পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার বিদায়ী ভাষণে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তারা আমাদের মতোই দেশপ্রেমিক।’ তিনি দেশের মানুষকে গণতন্ত্র রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের জীবন চলার পথ রক্ষার দায়িত্ব শুধু সামরিক বাহিনীর নয়। আতঙ্ক গ্রাস করলে গণতন্ত্রও সঙ্কুচিত হতে পারে। সুতরাং নাগরিক হিসেবে আমাদের বিদেশি আগ্রাসনের ওপর নজর রাখতে হবে এবং নৈতিকতা দুর্বল করে দেয়, এমন বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই মূল্যবোধ আমাদের পরিচয় তৈরি করে দেয়।’ বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। শিকাগোতে (স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে) বাংলাদেশ সময় বুধরাব সকালে ওবামা তার বিদায়ী ভাষণ দেন।
হাজারো সমর্থকদের উদ্দেশে ওবামা বলেন, আট বছর আগের তুলনায় এখন প্রায় সবদিক দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ভালো অবস্থানে থাকা শক্তিশালী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের হুমকির বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেন ওবামা। দেশের মানুষকে গণতন্ত্র রক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি। তরুণ মার্কিনিদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘একটি ন্যায়, স্বচ্ছ ও সামষ্টিক সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালে আমি যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, তার চেয়ে এখন অনেক বেশি আশাবাদী।
নিজের আট বছরের শাসনামলের সফলতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি, কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ টানেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বর্ণবাদ আছে বলে অকপটে স্বীকার করেন ওবামা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সবার আরও অনেক কিছু করার আছে।
ওবামার উত্তরসুরি রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেবেন তিনি। এ ব্যাপারে ওবামা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি এ দেশের গণতন্ত্রের এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিষয় পারস্পরিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য মার্কিন নাগরিকদের প্রতি আকুল আবেদন জানান ওবামা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মনোযোগ দেয়া ও শোনা উচিত। আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামা। তার বয়স এখন ৫৫ বছর। আশা ও পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ২০০৮ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এই শিকাগোতেই বিজয়ী সমাবেশ করেন ওবামা। দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালের শেষবেলায় বিদায়ী ভাষণ দেয়ার জন্য হোয়াইট হাউসের বদলে সেই শিকাগোকেই বেছে নিলেন ওবামা। শেষ ভাষণে সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বর্ণবাদ আছে বলে স্বীকার করেন ওবামা। তিনি বলেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সবার আরও অনেক কিছু করার আছে। ’নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওবামা। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।