পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোববার স্বীকার করেছেন যে গোয়েন্দা রিপোর্টের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের প্রভাব তিনি খাটো করে দেখেছিলেন। -খবর এএফপি
এবিসি’র ‘দিস উইক’-এ এক সাক্ষাতকারে ওবামা আর দু’ সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ক্ষমতা নিতে চলা তার উত্তরসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শাসন কাজ ও প্রচার অভিযানের মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভাবি প্রেসিডেন্ট যেভাবে তার পারিবারিক ব্যবসা চালান সেভাবে প্রেসিডেন্সি চালাতে পারবেন না।
শুক্রবার নেয়া এ সাক্ষাতকারের দিনই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এক নজিরবিহীন রিপোর্ট প্রকাশ করে যাতে বলা হয় যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাহত ও ট্রাম্পকে সমর্থন করতে হ্যাকিং, তথ্য ফাঁস ও মিডিয়া কৌশলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওবামা বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রুশ বৈরিতাকে তিনি আমল দেননি। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই নয়াতথ্য যুগে সাইবার হ্যাকিং সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া সম্ভব সে ব্যাপারে আমি গুরুত্ব দেইনি। তিনি বলেন, আমাদের মুক্ত সমাজ, মুক্ত ব্যবস্থা, আমাদের গণতন্ত্রের মধ্যে তাদের নিজেদের প্রবিষ্ট করার বিষয়টি গতি পাচ্ছে।
ওবামা বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে পুতিন অনেকদিন থেকে ইউরোপে এবং সাবেক সোভিয়েত ক্রীড়নক রাষ্ট্রগুলোতে এ রকম কিছু করছেন। তিনি ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর আসন্ন নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
জাতীয় গোয়েন্দার পরিচালকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে রাশিয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল হিলারির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হওয়া ব্যাহত করার জন্য নজিরবিহীন সাইবার প্রচারণা চালানো এবং তারপর ট্রাম্পের বিজয় সম্ভব করার জন্য চেষ্টা করা।
ট্রাম্প পূর্ণ রিপোর্ট শোনার জন্য দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সাথে দেখা করার পর ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটিসহ মার্কিন লক্ষ্যবস্তুসমূহ হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা মেনে নেন , কিন্তু নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপের কথা প্রত্যাখ্যান করেন।
ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দল রোববার তাদের দাবি ˜িগুণ জোরদার করে বলেছে যে ডেমোক্র্যাটরাই তাদের ইমেইল একাউন্ট হ্যাকিং হতে দেয়ার জন্য দায়ী। রাশিয়া নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন কথা তারা সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভাবি প্রেসিডেন্ট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্তকে উপহাস করেন এবং মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।
যাহোক, ওবামা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে জোরালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন।
ওবামা বলেন, আমরা যদি সতর্ক না থাকি বিদেশী রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিতর্কে প্রভাব ফেলতে পারে যা ১০, ২০ বা ৩০ বছর আগে সত্য হতে পারত না।
তিনি সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
ওবামা হবু প্রেসিডেন্টের সাথে তার আলোচনাকে আন্তরিক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি তার পরামর্শ শুনেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ট্রাম্প আত্মবিশ^াসী যা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য পূর্বশর্ত।
ওবামা বিশ^াস করেন যে ট্রাম্প বিশদ নীতি প্রণয়নে খুব বেশি সময় ব্যয় করেননি। তিনি ট্রাম্পের টুইটার ব্যাবহারের প্রশংসা করেন। বলেন, এটা সুস্পষ্টভাবে তার পক্ষে কাজ করেছে যা বহু লোকের সাথে তাকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে যারা তাকে ভোট দিয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হবেন তখন বিশে^র দেশগুলোর রাজধানী ও আর্থিক বাজারগুলো এবং বিশ^ব্যাপী মানুষ তার পোস্টগুলোকে আসলেই গুরুত্বের সাথে নেবে।
ওবামা বলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার কঠিনতম সিদ্ধান্ত ছিল ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে আরো ৩০ হাজার সৈন্য পাঠানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।