পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আকবর হাশেমি রাফসানজানি আর নেই। গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তার ইন্তেকাল ইরানের মধ্যপন্থী এবং সংস্কারবাদীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বস্তুত দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী একজন উদারপন্থী নেতাকে হারাল ইরান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইরানের এক্সপেডিয়েন্সি কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। ১৯৮০-র দশক থেকে ইরানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন রাফসানজানি। ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে মাহমুদ আহমেদিনেজাদের কাছে পরাজিত হন। ২০০৫ সালে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর রাফসানজানি তার প্রকাশ্য সমালোচকে পরিণত হন। ২০০৯ সালে তিনি সংস্কারবাদীদের পক্ষ নেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাফসানজানি ইরানের এক্সপেডিয়েন্সি কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। পার্লামেন্ট এবং গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মধ্যে মতবিরোধ নিরসন করা এ কাউন্সিলের কাজ। ইরানে যারা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি তুলেছিলেন এবং সংবিধানের আওতায় কাজ করা দলগুলোর আরও রাজনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন রাফসানজানি ছিলেন তাদেরই একজন।
এদিকে, প্রবীণ বন্ধু রাফসানজানির আকস্মিক ইন্তেকালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে এবং বিপ্লব সফল হওয়ার পরবর্তী সময়ে রাফসানজানি ছিলেন সর্বোচ্চ এই নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শোকবার্তায় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, রাফসানজানির মৃত্যুতে দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি হলো। এপি বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।