বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : খুন, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, অস্ত্র, মাদক এবং চোলাচালানসহ অন্যান্য ধরণের প্রায় ছয় হাজারের বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়। বিদায়ী বছর ২০১৬ সালে এসব ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আগস্ট মাসে। আর বছর জুড়ে ১৭টি থানা এলাকায় খুন হয়েছে ১৩৮জন। তার মধ্যে খুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে সদর দক্ষিণ থানা এলাকায়। গতবছর সদর দক্ষিণে বিভিন্ন ঘটনায় ১৯জন খুন হয়েছে। আর এক বছরে কম খুনের ঘটনা ঘটেছে লাকসামে। গেলো বছর কুমিল্লায় বেশ কটি খুনের ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। জেলার বিশিষ্টজনরা খুনোখুনি ও নারী নির্যাতন বন্ধের ব্যাপারে একে অপরের প্রতি সহনশীল ও সম্পর্কের উত্তরণ এবং অন্যান্য অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীদের আরও তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিদায়ী বছর ২০১৬ সালে কুমিল্লায় কোন ধরণের রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলেও দ্ব›দ্ব, আধিপত্য, ছিনতাই, পূর্ব শত্রæতার জের, পারিবারিক কলহ, জায়গা দখল, অপহরণ ও মুক্তিপণ ঘিরে ১৩৮টি খুন সংঘটিত হওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল সাধারণ মানুষের মাঝে। কুমিল্লা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাগুলোতে গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উপস্থাপিত অপরাধচিত্রের প্রতিবেদনে দেখা গেছে গত এক বছরে কুমিল্লার ১৬উপজেলার ১৭টি থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৬ হাজার ১৩২টি। তারমধ্যে প্রতিমাসেই অপরাধের মাত্রা সাড়ে ৪শ’ থেকে ৬শ’র ওপরে ছিল। সবচেয়ে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। এ মাসে মোট অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৬৪৯টি।
এদিকে খুনের ঘটনায় গত বছর শীর্ষে রয়েছে সদর দক্ষিণ থানা এলাকা। এখানে খুন হয়েছে ১৯জন। কোতয়ালী থানা এলাকায় ১৬টি খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ১২ খুনের ঘটনায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দাউদকান্দি। অন্যান্য থানা এলাকার মধ্যে বুড়িচংয়ে ১১টি, চৌদ্দগ্রাম ও দেবিদ্বারে ১০টি, চান্দিনায় ৯টি, মেঘনায় ৭টি, মুরাদনগর ও মনোহরগঞ্জে ৬টি, নাঙ্গলকোট, ব্রাহ্মণপাড়া, হোমনা, তিতাস, বরুড়ায় ৫টি, বাঙ্গরায় ৪টি এবং লাকসামে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে গতবছর নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৪৩টি। প্রতি মাসেই ৪০ থেকে ৬০টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৭ থানা এলাকায়।
জেলার বিশিষ্টজনদের মতে, দ্ব›দ্ব, কলহ এবং সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয়ের কারণে কুমিল্লায় খুনের ঘটনা বাড়ছে। পুলিশ একটি খুনের তদন্ত শুরু না করতেই ঘটছে আরেকটি খুন। অহরহ খুনের ঘটনায় ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও আতংকিত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। সামাজিক অস্থিরতা কমলে সব ধরণের অপরাধ প্রবণতাও কমে আসবে। এজন্য সমাজে বসবাসকারী একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতে হবে এবং সম্পর্কের উত্তরণ ঘটাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।