পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ‘মনে হচ্ছিল এই বুঝি শেষ। আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, তোমাকে ভালোবাসি’। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা তরুণী তুভানা তাগসাভউল এভাবেই বর্ণনা করছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুহুর্তের কথা।
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যে নাইট ক্লাবটিতে হামলা হয় সেখানে ছিলেন তুভানা। বন্দুকধারীর সে আক্রমণে ৩৯ ব্যক্তি নিহত হন, যার মধ্যে অন্তত ১৫ জন বিদেশি নাগরিক।
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান করতে যে নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন তুভানা ও তার বন্ধুরা। বন্ধুকধারীরা যখন
আক্রমণ করে তখন তিনি টয়লেটে আশ্রয় নেন। সেখানে লুকিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন তিনি। তুভানা বলেন, ‘মনে হচ্ছিল টয়লেটেই মারা যাব। বিদ্যুৎ ছিল না। গুলির আওয়াজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভাবছিলাম হামলাকারী হয়তো যে কোন সময় তাকে উড়িয়ে দেবে’।
মৃত্যু আসন্ন জেনে তিনি বন্ধুর কাছে থেকে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান তুভানা। সে ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তার গলা ভারী হয়ে আসে। রোববার স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে ইস্তাম্বুলের অর্তাকয় এলাকায় রেইনা নাইটক্লাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সান্তা ক্লজের পোশাক পরা বন্দুকধারী নাইট ক্লাবের ভেতরে ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে। আক্রমণের সময় ক্লাবে প্রায় ৭০০ মানুষ ছিল। তারা নববর্ষ উদযাপন করছিল।
হামলার পর অনেকেই ভয় আর আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এরই মধ্যে সে হামলার দায় স্বীকার করেছে। -সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।