মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কে অত্যন্ত বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো ঐতিহাসিক কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) বিজয়ের দিনটি। রোববার যথাযথ মর্যাদায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে তুর্কিরা। রোববার ভোরে এ উপলক্ষে ফজর নামাজ পড়তে আয়া সোফিয়া মসজিদে দূর-দূরান্ত থেকে সমবেত হন অসংখ্য মুসল্লি। আনাদোলু এজেন্সি জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই দিন নগরীর প্রধান প্রধান জায়গায় বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়। ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া মসজিদের ওপরে আলোকসজ্জার মাধ্যমে নগরটির বিজেতা ওসমানিয়া সুলতান মোহাম্মদ আল ফাতিহের ছবি প্রদর্শন করা হয়। আলোকসজ্জা করা হয় সম্পূর্ণ স্কাই ভিডিও ম্যাপিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। এ সময় ইস্তাম্বুল বিজয় ও সুলতান মোহাম্মদকে নিয়ে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচিত্রও প্রদর্শিত হয় সেখানে। এর আগে ১৪৫৩ সালে ওসমানিয়া সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ আল ফাতিহ শহরটি জয় করে ইসলামের ইতিহাসে অনন্য মর্যাদায় আসীন হন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয় আজকের ইস্তাম্বুল। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে। বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল নগরী একটি প্রাচীন শহর। তার প্রাচীন নাম কনস্টান্টিনোপল। আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটিকে কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মোহাম্মদ সা: এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী সা: বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। ওই সেনাপতি উত্তম সেনাপতি হবে এবং ওই সেনাবাহিনী উত্তম সেনাবাহিনী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬)। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে ওসমানিয়া সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ আল ফাতিহ (রহ:) এই শহর জয় করেন। তিনি ৮৩৫ হিজরির ২৭ রজব মোতাবেক ১৪৩২ সালের ৩০ মার্চ ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের তৎকালীন রাজধানী ‘এদির্ন’ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সাম্রাজ্যের ৬ষ্ঠ শাসক সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ, মাতার নাম হুমা ওয়ালিদা খাতুন। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা ‘প্রত্যাশিত পর্যায়ে’ ছিল না এবং জঙ্গীবাদকে মদদ দেয়া দেশগুলোকে তুরস্ক সমর্থন দিতে পারে না। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি হাবের রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। এর আগে, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটে যোগদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তুরস্ক। এরদোগানের সর্বশেষ এ মন্তব্য সেই বিরোধিতাকে অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিলো। এরদোগান আরও বলেন, যেসব দেশ জঙ্গীদের মদদ ও আশ্রয় দেয় তাদের ন্যাটোতে যুক্ত করে আমরা আগে যে ভুল করেছিলাম সেটি আবার করতে পারব না। এটি একটি নিরাপত্তা সংগঠন। তিনি বলেন, তুরস্ক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান দেখতে চায়, কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন আরও নেতিবাচক হয়ে উঠছে। আনাদোলু, টিআরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।