Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে ছাগলনাইয়া আজিজিয়া মাদরাসার মোহতামিমের বক্তব্য

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গত ২৮/১২/২০১৬ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের ৫নং পৃষ্ঠায় “ছাগলনাইয়া আজিজিয়া মাদরাসা দু’গ্রæপের দ্বন্দ চরমে” শীর্ষক সংবাদটি বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা রুহুল আমিন। প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৫৮ সালে ছাগলনাইয়া আজিজিয়া কাসিমুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানাটি চট্টগ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা শাহ মুফতি আজিজুল হক (রহ.) এর ভিত্তিস্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসমানদের উদ্যোগে পীরে কামেল মাওলানা বজলুর রহমানের (রহ.) হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম মাওলানা বজলুর রহমান দীর্ঘ ১০ বছর মোহতামিম থাকার পর অত্র মাদরাসা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর পর একটি মহল মাওলানা আবু মুসাকে ১৯৬৮ সালে মোহতামিমের দায়িত্ব দেন।
মাওলানা আবু মুসা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকার কারণে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন। এর পর আল্লামা শাহ সোলতান আহমদ নানুপুরী (রহ.) নির্দেশে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে মাওলানা বজলুর রহমান (রহ.) পুনরায় মুহতামিমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাওলানা আবু মুসাও তার পুত্র হাফেজ মাওলানা নিজাম উদ্দিন মাদরাসার মোহতামিম থাকাকালে কখনো নিজেদের মোতওয়াল্লি দাবি করেননি।
মাদরাসার মজলিশে শুরা (পরিচালনা কমিটির) সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৩১/০৩/২০১৬ মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদ পুননির্মাণ কাজ শুরু করার পর বহিস্কৃত দুই শিক্ষক মাওলানা আবু মূসার নাতি মাওলানা সাঈদুল হক কপিল শিক্ষক মাওলানা আবদুল হালিম ও তাদের সহযোগিরা মসজিদ সংলগ্ন মাঠ ছোট হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ফেনীর আদালতে মসজিদের কাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত ২১/১২/২০১৬ তারিখে কপিল নিজেকে মোতাওয়াল্লি দাবি করে তাকে মাদরাসা ও মসজিদের মোতওয়াল্লি নিয়োগ দেয়ার জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে ওয়াক্ফ প্রশাসক অফিস থেকে কোন প্রকার স্থানীয় তদন্ত ছাড়া একতরফাভাবে কপিলকে মাদরাসা ও মসজিদের জন্য মোতওয়াল্লি নিয়োগ করেন।
ওয়াক্ফ দলিলের শর্ত মোতাবেক মোহতামিমই হবেন মাদরাসার মোতওয়াল্লি। বার বার প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করায় গত ১৭/১২/২০১৬ তারিখে মাদরাসার মজলিশে শূরা কমিটি হাফেজ সাঈদুল হক কপিল ও তার সহযোগী মাওলানা আবদুল হালিমকে মাদরাসার চাকরি থেকে অব্যাবহতি দেন।
বহিস্কৃত দুই শিক্ষক গত ২৩/১২/২০১৬ তারিখে সন্ধ্যায় কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে মাদরাসার পাশে নির্মাণাধীন মসজিদের নিচে বসে বৈঠক করে। এসময় মাদরাসার শিক্ষক ও সহকারী হিসাব রক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ লোকমানকে জোবায়ের গনি, আবদুল কাদের, মাসুদ, সাইফুল্লাহসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০জন লোক হামলা করে মারাত্মক জখম করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং মসজিদের নির্মাণ সামগ্রী তছনছ করে। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা মোহতামিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে তা বাস্তবতা পরিপন্থী বলেও দাবি করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রকাশিত

১৫ জানুয়ারি, ২০২২
১১ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ