পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি মদদ দেয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত শুক্রবার তিনি দাবি করেন, ইউরোপের এমন সহযোগিতার কারণেই এই সংকট দীর্ঘ হচ্ছে। পাশাপাশি সিরিয়ার জনগণকে তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্য এবং রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্যদের একটি যৌথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে গত শুক্রবার আসাদ বলেন, যদি ইউরোপের দেশগুলো সিরিয়ার জনগণকে সহায়তা করতে চায়, তাহলে প্রথমেই তাদেরকে সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া, সিরিয়ার ওপর থেকে অন্যায় অবরোধও তুলে নিতে হবে। এ দুটি বিষয় সিরিয়ার জনগণের জীবনের মৌলিক বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলেছে। আসাদ আরও জানান, ভুলনীতি অনুসরণের ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। এ সময় তিনি সিরিয়ার সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের প্রশংসা করে বলেন, রুশ সমর্থনের কারণে শুধু সিরিয়ার নিরাপত্তা রক্ষা হচ্ছে না, বরং রাশিয়া ও ইউরোপীয়দেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। সিরীয় প্রশাসনের দাবি, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপের বহু দেশ সিরিয়া সংকটে নানাভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। এ ছাড়া, সিরিয়ার সরকারকে দুর্বল করতে তাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে তারা। শুধু তাই নয়, ইউরোপের অনেক দেশ থেকে সন্ত্রাসী গিয়ে সিরিয়ার সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, তারা শুধুমাত্র আসাদবিদ্রোহী বাহিনীকেই সমর্থন দিচ্ছে। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে অস্ত্রবিরতি শুরু হওয়ার পর পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনেরও তেমন খবর পাওয়া যায়নি। ইস্টার্ন ঘাওতা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার সেখানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও সামরিক অভিযান চলে। তবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামলা বন্ধ আছে। দামেস্ক ও ইদলিব থেকেও এএফপির সংবাদদাতারা গত মধ্যরাত থেকে গোলাবর্ষণ, বিমান হামলা ও সংঘর্ষের কোনো খবর না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে হামা শহরে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সিরীয় সরকার অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে যুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার এশটি মোক্ষম সুযোগ বলে প্রশংসা করেছেন। সিরীয় বাহিনী দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পো পুনর্দখল করার এক সপ্তাহ পর এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলো। তবে অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতায় আমেরিকা ছিল না। প্রেসটিভি, সানা, বিবিসি, আল-জাজিরা, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।