Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরও এলাকা দখলের দাবি রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ইউক্রেনের পূর্বের শহর বাখমুত। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার বেসরকারি সেনা ওয়্যাগনারের তীব্র লড়াই হচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়া দাবি করেছে, বাখমুত ঘিরে ফেলেছে ওয়্যাগনার আর্মি। এবার তারা শহরের ভিতরে প্রবেশ করবে। তবে এটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে কিয়েভ।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ওই এলাকা এখনো ইউক্রেনের সেনার হাতেই আছে। তবে বিবিসি ও রয়টার্স এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল। রোববার কিয়েভের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওয়্যাগনার দাবি করছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ইয়াহিদনে গ্রামটি দখল করেছে। সেখান থেকে তারা বাখমুত শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। ইয়াহিদনে এখনও ইউক্রেনের হাতেই আছে।

ওয়্যাগনারের প্রধান শনিবার জানিয়েছেন, ইয়াহিদনে তাদের হাতে চলে এসেছে। তার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী বারখিভকা নিয়েও একই দাবি করেছিলেন তিনি। বস্তুত, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। রাশিয়ার সেনার পাশাপাশি ওয়্যাগনার সেনা প্রবল লড়াই চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, এখনও পর্যন্ত তারা রাশিয়ার সেনাকে আটকে রাখতে পেরেছে।

এক খবরে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বাখমুতে এক সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। গত এক বছরে তা কমতে কমতে পাঁচ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা আছেন, তারাও উপায় নেই বলে সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। শহরটি কার্যত এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। তারই মধ্যে সারাদিন ধরে গোলাবর্ষণ হচ্ছে। রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বস্তুত, দোনেৎস্ক অঞ্চলের একাধিক জায়গা নতুন করে দখলের চেষ্টায় রাশিয়া।

এদিকে রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। তার কথায়, 'পশ্চিমের লক্ষ্য একটাই-- সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাশিয়ান ফেডারেশনকে ধ্বংস করা।'

পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিমারা সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে। একই সঙ্গে এদিন ন্যাটোকেও তুলোধোনা করেছেন তিনি। ন্যাটোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে একথা তিনি আগেও বলেছিলেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি রাশিয়ার এলিট ফোর্সের বহু সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। দোনেৎস্কের লড়াইয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দাবি। তবে রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ