Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তেলের দাম কমবে জানুয়ারিতে মুহিত

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমানোর বিষয়ে সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানুয়ারিতেই কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি। ডিসেম্বরে কমাতে চেয়েছিলাম। ডিসেম্বরে পারছি না, সুতরাং এটা জানুয়ারিতে হবে।
এর আগে ডিসেম্বরে তেলের দাম কমানোর কথা বললেও তা হচ্ছে না জানিয়ে মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে, কারণ ওটা তার মন্ত্রণালয়। একটা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে হবে। সেটা এখনও দিতে পারিনি।
বিশ্ববাজারে দুই বছর ধরে তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ  পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে লাভে তুলতে দীর্ঘদিন দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার। এরপর চলতি বছর ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমানো হয়। তার কয়েকদিন আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যালেন্ডার বছরে (তেলের দাম) আমরা কিছুটা অ্যাডজাস্ট করেছি, অ্যান্ড দ্যাট ইজ গুড এনাফ। এটার জন্য এমন কোনো ওরিড না।’
‘কারণ ওটা করা হয়েছে প্রাইস বেইজড ৮০ ডলার (আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দর)। নতুন করে নির্ধারণ করতে হলে এটা ৬০-এর কাছাকাছি হবে। ৪০ এ নেমেছিল, এখন আবার ওপরে উঠছে। আমার হিসেবে বেস্ট প্রাইস ৬০-এর কাছাকাছি হবে, এটা খুব এমন বড় কিছু না।’
আবার দাম কমানোর উদ্যোগের ব্যাখ্যায় মুহিত বলেন, ‘এটা করার উদ্দেশ হচ্ছে লাভটা অর্থনীতির সবক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেয়া। যেখানে প্রত্যেকে তেলের দামে প্রভাবিত হয়, এ জন্য তেলের দাম কমানোর সুপারিশ দিয়েছে।’
২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেলেও রেমিটেন্স কমেছে। এ জন্য অনেকেই দায়ী করছেন হুন্ডিকে। সরকার এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে মুহিত বলেন, ‘এক্সচেইঞ্জ রেইটের কারণে হুন্ডি হয়, তবে এটা আর থাকবে না। ইন্টারন্যাশনালিও অনেকটা ঝামেলা হয়েছে, ইউরোপের প্রবলেম। এটা নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নাই।
২০১৬ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো ছিল মন্তব্য করে মুহিত বলেন, দেশে শান্তি ছিল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, যা গুরুত্বপূর্ণ। তার ফল দেখতেই পারছেন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ঘোষণা করেছেন। আমি আশা করি অনুমান সত্য হবে। আমার নিজের হিসেবে ৭ দশমিক ২, যেটা আমরা টার্গেট করেছি, দ্যাট ওয়াজ ভেরি কনজারভেটিভ, আর কনজারভেটিভ ইচ্ছা করেই করা হয়েছিল, সেটা সারপ্লাসড হবে। তাই এটা ভালো বছর।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তেল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ