মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু ওয়াশিংটন এখনও দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। পেশোয়ার এবং করাচিতে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর দুই সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার কাছ থেকে এই বার্তা এসেছে। করাচিতে শুক্রবারের হামলার বিষয়ে মন্তব্য করার সময় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন- ''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করাচি পুলিশ অফিসে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছি। সহিংসতা উত্তর নয়, এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ''মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের একজন কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট বলেছেন যে দেশটি নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে তার দিনব্যাপী সফরের পর VOA -কে দেওয়া একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে চোলেট বলেন, ''পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ আবারো মাথাচাড়া দিয়েছে। এই বিষয়ে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করছে আমরা অনুসরণ করছি এবং নিশ্চিত করছি যে যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।'' ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান পণ্ডিত মাদিহা আফজাল করাচি পুলিশ অফিসে শুক্রবারের হামলাকে নির্লজ্জজনক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে - ''করাচির প্রধান রাস্তা, শাহরাহ-ই-ফয়সাল -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ভবনে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্র ঘুমিয়ে রয়েছে ''। VOA- কে দেওয়া তার সাক্ষাত্কারে, চোলেট পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী আস্তানাগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে কিনা সেবিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। পাঁচ মাসের মধ্যে এটি চোলেটের দ্বিতীয় সফর। এই সফর এমন সময়ে ঘটেছে যখন পাকিস্তান প্রতিদিন মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যকলাপ, আন্তঃসীমান্ত সামরিক হামলাসহ পাকিস্তানের কোন পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে সেই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি চোলেট। পরিবর্তে, তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তানি সমকক্ষদের সাথে তাদের প্রয়োজন এবং ওয়াশিংটন কি সহায়তা দিতে পারে সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চীনের কাছে পাকিস্তান যে ঋণ নিয়েছে তা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল। তবে চোলেট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বলছে না। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি সত্ত্বেও চোলেট বলেছেন যে '' প্রতিটি মিত্র, অংশীদার সমান নাও হতে পারে, তবে আমাদের কাছ সমস্ত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।'' সূত্র : ডন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।