মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার দাবিতে কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব ডেমোক্রেটিক রাইটস (এপিডিআর) নামে একটি সংগঠন। এসময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনের রানু ছায়া মঞ্চে এ বিক্ষোভ করে এপিডিআর।
সংগঠনটি জানায়, ফারাক্কায় ফল চাষিদের সম্মতি ছাড়াই তাদের জমিতে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুতের টাওয়ার বসানো ও হাইটেনশন তার টেনে জোর করে প্রকল্প চালু ও আন্দোলনরত চাষিদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সুর বলেন, হাজরা মোড়ে আজ আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা ছিল। এ বিষয়ে সাতদিন আগেই পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজার, কালীঘাট থানা ও ভবানীপুর থানায় চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ দুপুরে কোনোভাবেই পুলিশ এ সভা করার অনুমতি দেয়নি। গায়ের জোরে আমাদের এ সভা বন্ধ করে দেয়।
মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, ফারাক্কা বা কলকাতা হক, কোথাও আদানিদের বিরুদ্ধে কোনো মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, টাটা গোষ্ঠীকে বাঁচাতে গিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাম সরকারের পতন ঘটেছিল, এবার আদানিকে বাঁচাতে গিয়ে মমতা সরকার বিপদ ডেকে আনছে।
গত ৩১ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ৩০ জন ফলচাষি ও এপিডিআর। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হবে।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গোষ্ঠীর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার উপর দিয়ে খুঁটি দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তার (হাইটেনশন) যাচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু জেলার যে অংশের উপর দিয়ে আদানির এ বিদ্যুৎ লাইন যাচ্ছে, সে ফারাক্কায় প্রচুর পরিমাণ আম ও লিচুর বাগান থাকায় তাতে প্রবল আপত্তি জানায় সেখানকার ফল চাষিরা।
গত বছরের জুলাই মাসে এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। আহত হন একাধিক গ্রামবাসী ও পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোর করে আম-লিচু বাগানের উপর গিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের লাইন বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে আদানি।
গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকাটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এছাড়া প্রচুর পরিমাণ আমগাছ, লিচুগাছ রয়েছে। ওই আম-লিচুর ফলনের উপরই তারা নির্ভরশীল। তা থেকেই জীবন অতিবাহিত হয় তাদের। কিন্তু ওই ফসলি জমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ায় প্রচুর ফলনের গাছ কেটে ফেলেছে আদানি। এতে তাদের জীবিকায় প্রভাব পড়ছে। এমন অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে এ জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।