মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিগত দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর টাল-মাটাল অবস্থা। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন গোষ্ঠী। সম্প্রতি আদানি এন্টারপ্রাইজ ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের এফপিও বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরও তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। এর পরে আদানি গোষ্ঠী তাদের তিনটি কোম্পানির ঋণদাতাদের জন্য তাদের ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস-এর স্বার্থে শেয়ার বন্ধক রেখেছে। শেয়ার বাজারে তাদের শেয়ার আনার বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা গত কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। এই নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, আদানি পোর্টস এবং স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন, আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেড এবং আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড– এই তিনটি কোম্পানি এসবিআইক্যাপ ট্রাস্টি কোম্পানির কাছে শেয়ার বন্ধক রেখেছে। গত শুক্রবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ-এ তাদের ফাইলিংয়ে এই কথা জানিয়েছে ঋণদানকারী সংস্থা এসবিআই ক্যাপ। ভারতের বৃহত্তম ঋণদাতা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আদানি পোর্টের ১ শতাংশ (আগে ছিল – ০.৬৫ শতাংশ), আদানি ট্রান্সমিশনের ০.৫৫ শতাংশ (আগে ছিল – ০.৪৪ শতাংশ) এবং আদানি গ্রিনের ১.০৬ শতাংশ (আগে ছিল – ০.৬৮ শতাংশ) শেয়ার বন্ধক রয়েছে। এসবিআইক্যাপ জানিয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজের ঋণদাতাদের সিকিউরিটি ট্রাস্টি হিসেবে এই শেয়ার তারা পেয়েছে।
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গোষ্ঠীর সম্প্রতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, অনৈতিকভাবে নিজেদের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি করেছে গোষ্ঠী, পাশাপাশি বিদেশে টাকা রাখার ক্ষেত্রে করসংক্রান্ত যে ছাড় দওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। তারপর থেকে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তৈরি হয়েছে। শেয়ার বাজারে বিপুল পতনের সম্মুখীন আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার। যদিও আদানি গোষ্ঠীর তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং তাদের দাবি, তারা দেশের আইন-কানুন মেনেই ব্যবসা করছে। কোনওভাবেই কোনও ফাঁকি দেয়নি তারা।
এদিকে, ভারতীয় শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে তদন্ত করছে। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দেয়া সংস্থাদের আর্থিক তথ্য। প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, আদানি গোষ্ঠীকে ভারতীয় ব্যাঙ্কদের দেয়া ঋণের পরিমাণ ০.৮ – ১.২ শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থা ও কোম্পানিকে যে ঋণ দেয় তারা, তার মধ্যে আদানি আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়ার ঋণের পরিমাণ ০.৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি (৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সূত্র: জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।