মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাশ, লাশ আর লাশ। ধ্বংসাবশেষ যত সরানো হচ্ছে ততই মিলছে পাহাড়। ভূমিকম্পের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে তুরস্ক আর সিরিয়ায় লাশের পাহাড় জমছে। রোববার সকাল পর্যন্ত দুই দেশে প্রাণহানির সংখ্যা ২৯ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। তার মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গিয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যেভাবে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে লাশের পর লাশ উদ্ধার হচ্ছে তাতে প্রাণহানির সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা ভেবেই উঠতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
গত সোমবার ভোরে শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক আর সিরিয়া সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রকৃতির অভিশাপে নিমিষেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে একাধিক শহর, জনবসতি। প্রায় লক্ষাধিক উদ্ধারকারী গত ছয়দিন ধরে সেই ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছেন অসহায়ভাবে মৃত্যুর দেশে পাড়ি জমানো স্থানীয় বাসিন্দাদের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতদেহ থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। ছয়দিনের মাথাতেও ধ্বংসাবশেষের ভিতর থেকে বহু শিশু, মহিলাকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ছয়দিনের মাথাতেও ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে প্রাণের স্পন্দন শোনা যাবে, তা কল্পনাতেও ছিল না উদ্ধারকারীদের।
শনিবার গাজিয়ানটেপ নুরদাগ শহরের এক ধ্বংসস্তুপ থেকে একই পরিবারের পাঁচজনকে যেমন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তেমনই ১৬ শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখনও বেশ কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের হদিশ না মেলা পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলবে।
এদিকে, তুরস্কে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। ব্যাপক লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে এসব অঞ্চলে। সহিংসতার মুখে উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকর্মীরা। তবে দেশটির সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এরদোগান জানিয়েছিলেন, তার সরকার লুটপাটকারীদের অতি অবশ্যই খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করবে। এবং এ লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মানে হলো, এখন থেকে লুটপাট, অপহরণকারীদের জানা উচিত আইনের হাত তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করবে। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।