গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে স্বভাবসুলভ হাস্যরসে সবাইকে মাতিয়ে রাখলেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল সোমবার কলেজ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের ফাঁকে স্ত্রী রাশিদা খানমের সঙ্গে খুনসুটির গল্প শুনিয়ে দর্শকদের মধ্যে হাসির ঝড় তুলে দেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ছিলেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতি। তার সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়েই আবদুল হামিদের গল্পের সূত্রপাত। তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। আজ সেসব কথা বলার সুযোগ নেই। বেশি কথা বলতে চাই না। অনেক সময় হয়ে গেছে, মনটাও একটু খারাপ। প্রেসিডেন্টের মন খারাপ কেন? সকালে তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে ওঠার পর নাস্তা করার সময় একটু গোলমাল হয়ে গেছে। গোলমালের বিষয়টা বলাও মুশকিল। প্রেসিডেন্টের বলার ভঙ্গিতে দর্শক সারিতে হাসির সঙ্গে সঙ্গে তখন আওয়াজ উঠেছেÑ ‘বলতে হবে, বলতে হবে’। অতঃপর বলতে শুরু করলেন প্রেসিডেন্ট হামিদ।
আমি যখন নাস্তা করছি, আমার স্ত্রী তখন ইনসুলিন নেবে। সিস্টার আসে ইনসুলিন দেয়ার জন্য। বাই দি বাই আমি সিস্টাররে জিজ্ঞাসা করলামÑ ইনসুলিনের দাম কত। পরে বলল, একটা ইনসুলিন দিয়ে দুই দিন চলে, দাম নয়শ’ টাকা।
এখনতো প্রেসিডেন্টের আর তার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ সরকারিভাবে দেয়া হয়। যখন আমার পদ থাকবে না, চলে যাব, তখন রোজ সাড়ে চারশ’ টাকার ইনসুলিন আরও অসুখ-বিসুখ আছে। হিসাব করলাম, প্রায় এক হাজার টাকা ওষুধের পেছনে লাগবে। এই টাকা কোইত্তে আইব?
আবদুল হামিদ বলেন, উনি (স্ত্রী রাশিদা খানম) বললেন, এই টাকা তুমি দিবা’। আমি কইলাম, তোমারে যখন আমি বিয়ে করছি তখন কথা ছিল ভাত-কাপড় দিব। ইনসুলিন দেয়ার কথা তো ছিল না। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটির পরে বললাম আচ্ছা এটা যার যার তার তার।
সে তখন রাজি হলো। আমার বিয়ের সময় কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আমি ২৫ হাজার দিয়ে দিব বললাম। সে বলে, ‘২৫ হাজার টাকাতো এখন না। ৬৪ সালে বিয়ে করছি। তখনকার ২৫ হাজার এখন ২৫ কোটি।’
নয় মণ ঘিও হইব না রাধাও নাচব না। মন-মেজাজ ভালো না। আরও কিছু কথা বলতাম। এরপর গল্প ফেলে আবার লিখিত বক্তব্যে চলে যান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ।
২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর বঙ্গভবনে ওঠেন আবদুল হামিদ। তার আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং পরে নবম জাতীয় সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালনের সময় কিছুদিন লালমাটিয়ায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, আমিও লালমাটিয়ার বাসিন্দা ছিলাম। আর আমাদের প্রতিনিধি ছিলেন জাহাঙ্গীর কবীর নানক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।