মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমা মিত্রদের দেয়া অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের দক্ষতা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। রাশিয়ার দাবি- এসব সমরযান চালনায় পারদর্শিতা অর্জনে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। ফলে রণক্ষেত্রে মিত্রদের দেয়া ট্যাংকগুলো সদ্ব্যবহার করতে পারবে না তারা। অপরদিকে, পোল্যান্ড বলছে- ১০ সপ্তাহেই শেষ করা সম্ভব সমরযান পরিচালনার প্রশিক্ষণ। তাই সব মিলিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে এসব অস্ত্র আসলে ইউক্রেনকে কতখানি সুবিধা দেবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ন্যাটো মিত্ররা; তখন সামনে আসলো আরেক বিপত্তি। গেম চেঞ্জার বলা হচ্ছে যে লেপার্ড-টু, আব্রামস, চ্যালেঞ্জার-টু’র মতো সমরাস্ত্রকে, তারা আসলেই কতখানি কার্যকর হবে রণক্ষেত্রে? এ শঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, এসব অস্ত্র চালনার অপারদর্শিতাকে। ইউক্রেনের সেনারা এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহারে কতখানি প্রস্তুত তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তির ‘লেপার্ড টু’ ট্যাংক চালনায় পারদর্শী হতে ইউক্রেনীয় সেনাদের অন্তত ১ বছর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাদের দাবি- জার্মানি ও ব্রিটেনে কমপক্ষে দু’বছর বা তার বেশি সময় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এমন সেনারাই পরিচালনা করেন এই সমরযান। আর কৌশলগত দিক থেকেও সোভিয়েত পরবর্তী সমরাস্ত্রের চেয়ে বেশ জটিল এগুলো।
অবশ্য পোল্যান্ডের দাবি, আড়াই মাসের প্রশিক্ষণেই লেপার্ড টু পরিচালনার কৌশল রপ্ত করতে পারবে ইউক্রেনীয় সেনারা। যা রণক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি সুরক্ষা, গতি এবং নির্ভুলতা দেবে।
পোল্যান্ডের মেজর মাসিজ বানাসজিনস্কি বলেন, লেপার্ড, আব্রামসের মতো ট্যাংকগুলোর প্রশিক্ষণ করাতে কমপক্ষে ১০ সপ্তাহ সময় লাগে। প্রক্রিয়া জোরদার করলে পাঁচ সপ্তাহেই সম্ভব। আগেকার সমরাস্ত্রের চেয়ে এর কৌশল অনেকখানি সহজ। শুধু চালক এবং গানম্যানকে ভালো মতো প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আর গুলি ছোড়ার পদ্ধতি অন্য ট্যাংকগুলোর মতো একই।
এদিকে, ওয়াশিংটনও বলছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসব ট্যাংক পরিচালনার জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। কিন্তু রুশ বাহিনীর জোরালো হামলা প্রতিরোধে সে সময় কিয়েভের আছে কিনা তা এখন দেখার বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।