মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের সাথে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যে এবার চুশুল থেকে ডেমচোক পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর একটি কৌশলগত রাস্তা তৈরি করা শুরু করেছে ভারত। ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লেনের এ মহাসড়কের কাজ আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সড়ক হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে গত ২৩ জানুয়ারি বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) চুশুল-ডুংটি-ফুকচে-ডেমচোক হাইওয়ে (যেটি সিডিএফডি রোড নামেও পরিচিত তা নির্মাণের জন্য বিডের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে, ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কটি আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রস্তুত হবে। পাশাপাশি, নতুন রাস্তাটি সিন্ধু নদীর পাশ দিয়ে তৈরি হবে, যা কার্যত এলএসি-এর সমান্তরালে থাকবে। অর্থাৎ এটি লেহ-তে ভারত-চীন সীমান্তের খুব কাছাকাছি নির্মিত হবে।
এদিকে, কয়েক দশক ধরে ভারত-চীন সীমান্তের এই অংশে এমন গুরুত্বপূর্ণ পথটি কেন তৈরি হয়নি তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। অপরদিকে, চীন সিন্ধু নদীর আশেপাশের এলাকায় একাধিক পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করেছে। মূলত, চুশুল হল সেই এলাকা যেখানে ১৯৭২ সালে রেজাং লা-র যুদ্ধ হয়েছিল। পাশাপাশি, ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছে ডেমচোকও। এমতাবস্থায় নতুন রাস্তার কারণে দ্রুত সৈন্যদের ট্রুপ এবং যুদ্ধ সামগ্রী পৌঁছে যাবে। সেই সঙ্গে এই এলাকাকে সার্কিটে পরিণত করেও পর্যটন বিকাশ সহজ হবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ৭.৪৫ মিটার প্রশস্ত এই সড়কে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুও নির্মাণ করা হবে। বিআরও ২০১৮ সালে এই সড়কের সম্প্রসারণের প্রকল্পে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এমতাবস্থায়, গত ২৩ জানুয়ারি দু’টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
লেহ অঞ্চলে সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় পদক্ষেপ হবে। এর আগে বিআরও লাদাখে ন্যুউমা এয়ারফিল্ড নির্মাণের জন্য বিডের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যা যুদ্ধবিমানগুলির জন্য একটি আধুনিক অবতরণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায়, এই ন্যুউমা এয়ারফিল্ড হবে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ডের একটি। পাশাপাশি এই অত্যাধুনিক ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডটি নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকবে।
আগামী দুই বছরে ২১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অত্যাধুনিক ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে ফাইটার প্লেন চলাচল শুরু করবে। পাশাপাশি এটির অবস্থান সিডিএফডি রোডের কাছে হবে। এই নতুন ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডটি প্রায় ১,২৩৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত থাকবে। এছাড়াও, সেখানে উপযুক্ত সামরিক পরিকাঠামো সহ প্রায় ২.৭ কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে তৈরি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।