মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিদিনের মতোই সঙ্গীদের নিয়ে ২০ কিলোমিটার পথ হাঁটার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর। কিন্তু শুক্রবার অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার নিয়ম ভেঙে মাত্র এক কিলোমিটার গিয়েই থামতে হল রাহুলকে। কারণ হিসাবে ওয়ানড়ের সাংসদ জানিয়েছেন, তার নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি সরকার। অত্যধিক ভিড়ের কারণে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন রাহুল। তাই এদিনের মতো যাত্রা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশেষ গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাহুলকে।
তবে কাশ্মীর পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, বেশি জনসমাগম হবে বলে খবর ছিল না তাদের কাছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়নি। প্রসঙ্গত, এদিনের যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, ‘ভিড় সামলানোর জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তারা উপস্থিত ছিল না। ফলে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে আজকের মতো যাত্রা স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ আমার নিরাপত্তারক্ষীদের কথা অমান্য করতে পারি না। জনতাকে সামলানোর দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের।’ কংগ্রেসে তরফে অভিযোগ, আচমকাই নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছে জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন।
দলের তরফে আরও জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে প্রায় আধ ঘণ্টা একই জায়গায় আটকে ছিলেন রাহুল। পরে তাকে অন্য একটি গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, “আমরা বানিহাল টানেল থেকে বেরনোর পরেই আর পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। কেন আচমকা নিরাপত্তা কমিয়ে দেয়া হল, প্রশাসনকে তার জবাব দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে।” কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হল, তার প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, বুধবারেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে যাত্রা স্থগিত রাখতে হয়েছিল।
কাশ্মীরে প্রবেশের আগে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক দলকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ওমর আবদুল্লা। রাহুলের মতোই শীতবস্ত্র ছাড়া হাঁটা শুরু করেন তিনি। জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই যাত্রার উদ্দেশ্য দেশের অবস্থার উন্নতি করা। তিনি বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তির কথা মাথায় রেখে এই যাত্রায় হাঁটছি না। গোটা দেশের জন্যই যাত্রায় যোগ দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হবে ভারত জোড়া যাত্রা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।