মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গুজরাটের দাঙ্গায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জড়িত থাকার বিষয়ে নির্মিত বিবিসি’র তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কার্যত নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, ওই তথ্যচিত্র সম্পর্কে খুব বেশি না জানা নেই তাদের। ভারতে নানা বিষয়ে যা কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় আমেরিকা। প্রসঙ্গত, বিবিসির ওই তথ্যচিত্রে গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যোগ নিয়ে একাধিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে এ তথ্যচিত্রটি।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেড প্রাইসকে বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি জানান, ‘যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন, সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই। তবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে অনেক কিছু জানি। দুই দেশের গণতন্ত্রে প্রচুর মিল রয়েছে। ভারতে যা কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তা নিয়ে সংশয় থাকলে আমরা বরাবরই প্রশ্ন করে থাকি।’ মার্কিন মুখপাত্রের মন্তব্যেই পরিষ্কার, কার্যত নিরপেক্ষতার পথেই হাঁটছে আমেরিকা। তাই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী বন্ধ হলেও ভারত সরকারের সমালোচনা করতে নারাজ তারা।
বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেনের বিরোধিতা শুরু হয়েছে ব্রিটেনের অন্দরেই। পার্লামেন্টের অধিবেশনেই এই তথ্যচিত্রে মোদির ভূমিকা বিরোধিতা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সেই সঙ্গে বিবিসির বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত করার দাবিও উঠেছে। অনলাইন পিটিশন করে বলা হয়েছে, “বিবিসির কড়া নিন্দা করছি। তারা ডকু-সিরিজ তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসির নিরপেক্ষ ভূমিকা কেন পালন করল না, তা তদন্ত করে দেখুক বিবিসির বোর্ড।” তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শুরু থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এই সিরিজকে ঘিরে। গত মঙ্গলবার সম্প্রচার হয় ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম পর্ব। কিন্তু পরদিনই সেটা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। দ্বিতীয় পর্ব ২৪ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। ভারতে না দেখানো হলেও দেশের বাইরে থাকা ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই এই সিরিজটিকের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়, এই তথ্যচিত্র আসলে ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। তাই দেশে দেখানো হবে না এই সিরিজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।