Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাপান জনসংখ্যা বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম

জাপানে জন্মহার কমছে। বিষয়টি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশটির সরকারকে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দেশটির ক্রম হ্রাসমান জন্মহার মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

কিশিদা বলেছেন, জাপানে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময়। এখন ব্যবস্থা না নিলে দেরি হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা করার সময় নেই। এরই মধ্যে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি জনসংখ্যার দেশ হয়ে গেছে। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।

কয়েক বছর ধরেই জন্মহার বাড়াতে জনগণকে নানা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। বেশি সন্তান নিয়ে নগদ অর্থসহ নানা সুবিধার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, শিশুর লালনপালনের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি জাপান। এ কারণে অনেকেই সন্তান নিতে চান না।

জাপানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার নতুন রেকর্ড হয়। গত বছর সরকারের প্রত্যাশার চেয়েও আট লাখ কম শিশুর জন্ম হয়েছে দেশটিতে। এর আগে ২০১৫ সালে দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার রেকর্ড হয়েছিল।

দেশটিতে ভবিষ্যতে আরও জন্মহার কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, সেখানকার মানুষের গড় বয়স দাঁড়িয়েছে ৪৯। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের বাস মোনাকোতে। এরপরই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের দেশ জাপান।

ফুমিও কিশিদা জাপানের নতুন বছরে পার্লামেন্ট অধিবেশনের শুরুতে তাঁর সরকারের নীতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি সামাজিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুর জন্ম এবং পালনসংক্রান্ত নীতি এখনই নিতে হবে। এটি এমন একটি বিষয়, যার জন্য আর অপেক্ষা করা যায় না।’

কিশিদা বলেন, আগামী জুনের মধ্যে শিশু পালনবিষয়ক বাজেট দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা জমা দেবেন তিনি। এপ্রিলে সমস্যাটির তদারক করার জন্য একটি নতুন শিশু ও পরিবার সরকারি সংস্থা স্থাপন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ