মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জ্বর মাপা, ওষুধ খাওয়ানো কিংবা গলা থেকে নমুনা সংগ্রহ- সবই করতে পারবে। প্রয়োজনে রোগীর প্রশ্নের জবাবও দিতে পারবে। এমনই এক রোবট নার্সের যাত্রা শুরু হচ্ছে ভারতে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দেশটির উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পূর্ব ভারতের হাসপাতালে এমন নার্স রোবটের ব্যবহার এই প্রথম বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ পূর্ব ভারতে প্রথম রোবট নার্স পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় বছরের চেষ্টায় রোবটটি তৈরি করেছে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী ড. অঙ্কুশ ঘোষ।
অঙ্কুশ জানান, রোবট তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। আর পাঁচ জন সাধারণ নার্সের মতো প্রায় সবকিছুই করতে পারবে এই রোবট নার্স। খাওয়াতে পারবে। ওষুধ দিতে পারবে। মাপতে পারবে জ্বরও। শুধু তাই নয়, ৫ ফুট উচ্চতার ওই রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রোগীর নানা প্রশ্নের জবাবও দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে রোবট নার্সের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
হঠাৎ কেন রোবট নার্স তৈরির পরিকল্পনা? করোনাকালে দুঃসহ সময়ের কথা উল্লেখ করে ডা. অঙ্কুশ ঘোষ জানান, গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনার মতো সংক্রামক রোগের সাক্ষী আমরা। সেই সময় আক্রান্ত কারও কাছাকাছি পৌঁছানোই বিপজ্জনক ছিল। তবু প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নার্স, চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা করেছেন। রোবট নার্সের ব্যবস্থা করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমত। সেই কথা মাথায় রেখেই রোবট নার্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আপাতত মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোবট নার্সের ট্রায়াল রান চলবে। কলকাতার বড় বড় বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমকে কেন রোবট নার্সের ট্রায়াল রান চলার উপযুক্ত হিসেবে ভাবা গেল না? ডা. অঙ্কুশ ঘোষ জানান, রোবট নার্সের ট্রায়াল রান শুরু হলে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন কর্মীরা। সেই কথা মাথায় রেখে সদ্য পথচলা শুরু করা একটি বেসরকারি হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রায়াল রান সফল হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা নতুন দিক পাবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।